সিনহা হত‍্যা মামলা: আদালতে ৫ নম্বর সাক্ষী

অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার দ্বিতীয় দফা সাক্ষ‍্যগ্রহণের তৃতীয় দিনে ৫ নম্বর সাক্ষীর সাক্ষ‍্যগ্রহণ চলছে। এখন পর্যন্ত মামলায় চারজন সাক্ষী দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সোয়া ১০টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে হাফেজ মোহাম্মদ আমিনকে দিয়ে এ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এছাড়াও সাইফুল আবছার ও মো. শওকত আলীকে আদালতে উপস্থিত রাখা হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম জানান, সকাল ১০টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। গত ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট প্রথম দফায় সাক্ষ্যদানের জন্য ৮৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনকে আদালত নোটিশ দিয়েছিলেন। ওই তিনদিনে মামলার বাদী ও ২ নম্বর সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড হয়। গত রবিবার থেকে দ্বিতীয় দফায় প্রথম ও দ্বিতীয় দিনে মামলার দুই জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় বুধবার পর্যন্ত আদালতের নোটিশ পাওয়া অপর ১১ জনের সাক্ষী ও জবানবন্দি প্রদান করার কথা রয়েছে।

এর আগে, ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট টানা তিনদিন মামলার ১ নম্বর সাক্ষী ও বাদী শারমিন সাহরিয়া ফেরদৌস এবং ২ নম্বর সাক্ষী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। প্রথমদিনের সাক্ষ্যগ্রহণের সময় আদালতের কাঠগড়ায় হাঁটু গেড়ে বসে মোবাইলফোনে কথা বলেন ওসি প্রদীপ। তার কথা বলার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় উঠে।

গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় সে সময় সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় লিয়াকত আলীকে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে র‌্যাবকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় একটি এবং রামু থানায় আরেকটি মামলা করে। এরপর মেজর সিনহা নিহতের ছয় দিন পর লিয়াকত আলী ও ওসি প্রদীপসহ সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তদন্ত শেষে গত বছর ১৩ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন র‌্যাব ১৫-এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

অর্থসূচক/এএইচআর

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.