২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত-মৃত্যু বাড়লেও সংক্রমণ হার কমেছে

মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে বিগত দেড় বছর ধরে টালমাটাল বিশ্ব। বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। এ ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশে ধাপে ধাপে কঠোর বিধিনিষেধ দেওয়ার পর পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে এখনো চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন রোগী শনাক্ত ও মৃত্যু- দুটোই বেড়েছে। তবে এ সময়ে সংক্রমণ হার কমেছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে দুই হাজার ৪৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত ২৮ জুলাই দেশে ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়, যা একদিনে এ যাবতকালের সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড।

আগের সাত দিনে দেশে যথাক্রমে ১৭৪৩, ৩১৭৬, ৩৪৩৬, ৩০৬২, ৩৩৫৭, ৩৭২৪ ও ৩৯৪৮ জন রোগী শনাক্ত হয়।

সর্বশেষ তথ্য অনুসারে দেশে নভেল করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ১৪ হাজার ৪৫৬ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২৫ হাজার ১৬৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ছিল ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ।

এর আগের ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয় ১৭ হাজার ৭৫০টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার করা হয়েছে ৯০ লাখ ৬৪ হাজার ১৫ জনের। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৭১ শতাংশ।

আজ রোববার (০৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।


একনজরে দেশের করোনার চিত্র

নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন: ২৪৩০ জন

মোট আক্রান্তের সংখ্যা: ১৫১৪৪৫৬ জন

২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে: ৭০ জনের

মোট মৃত্যু হয়েছে: ২৬৫৬৩ জনের

২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন: ৫০৬০ জন

মোট সুস্থ হয়েছেন: ১৪৫১০৬৩ জন


গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৭০ জন মারা গেছেন। গত ১০ আগস্ট ও ৫ আগস্ট দেশে করোনায় মারা যান ২৬৪ জন, যা একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু।

গত সাত দিনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন যথাক্রমে ৬১, ৭০, ৮৮, ৭৯, ৮৬, ৯৪ ও ৮৯ জন।

সর্বশেষ তথ্য অনুসারে দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬ হাজার ৫৬৩ জনে। মোট শনাক্তকৃত রোগীর বিপরীতে মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৫ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৫ হাজার ৬০ জন সুস্থ হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। দেশে এখন পর্যন্ত করোনা থেকে মোট সুস্থ হয়েছেন ১৪ লাখ ৫১ হাজার ৬৩ জন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৫ দশমিক ৮১ শতাংশ।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.