মামুনুল হককে খুলনার আদালতে গ্রেফতার দেখিয়ে চার্জ গঠনের দিন ধার্য

বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় মামুনুল হককে গ্রেফতার দেখিয়ে চার্জ গঠনের দিন ধার্য করেছেন খুলনার আদালত। খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে আজ রোববার (০৫ সেপ্টেম্বর) সকালে মামুনুল হককে হাজির করা হলে আদালত তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে চার্জ গঠনের দিন ধার্য করেন।

আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট কেএম ইকবাল হোসেন আজ রোববার (০৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে খুলনা জেলা কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে করে তাকে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে আদালতে নিয়ে আসা হয়। আদালত প্রাঙ্গণে কড়া নিরাপত্তার পাশাপাশি কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়ার সময়ও ছিল ব্যাপক নিরাপত্তা।

আইনজীবীরা জানান, ২০১৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মহানবী (সা.) কে অবমাননার প্রতিবাদে ইসলামি কয়েকটি দল নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করে পুলিশ।

এর আগে গত শুক্রবার মামুনুল হককে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে খুলনা জেলা কারাগারে আনা হয়েছিল।

আদালতে দাখিল করা মামলার চার্জশিট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বিকেল সোয়া ৪টার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বাতিল, গ্রেফতার করা যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি ও সরকারবিরোধী শ্লোগান দিয়ে জামায়েতে ইসলামী, বিএনপি ও হেফাজতে ইসলামীসহ ১২ দলের প্রায় ৩ হাজার মানুষ মিছিল বের করে। মিছিলটি নগরীর ডাকবাংলা ও ময়লাপোতা মোড় হয়ে শিববাড়ি মোড়ে গণজাগরণ মঞ্চের দিকে যাচ্ছিল। ফুজি কালার ল্যাবের সামনে পৌঁছালে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় অংশগ্রহণকারীরা মিছিলের মধ্য থেকে পুলিশের ওপর ককটেল বোমা ও গুলি নিক্ষেপ করতে থাকে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে ২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। নিক্ষিপ্ত বোমার আঘাতে কয়েকজন পুলিশ আহত হয়। সে সময় তাদের চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে সেখান থেকে ২৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

ওই ঘটনায় এসআই আলমগীর কবীর বাদী হয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি খুলনা জেলা ইমাম পরিষদের কয়েকজন নেতা ও হেফাজত ইসলামীর নেতা মাওলানা মামুনুল হকসহ ২৬ জনের নামে সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন।

চার্জশিটে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, ওই ঘটনার আগের দিন ময়লাপোতা মসজিদ মোড়ে ওয়াজ করার সময় মামুনুল হকসহ অন্যান্যরা সংগঠিত হয়ে পুলিশের ওপর হামলা ও গণজাগরণ মঞ্চ ভাঙচুরসহ পুড়িয়ে দেওয়ার জন্য অনুসারীদের নির্দেশ দেন।

২০১৫ সালের ২১ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. মোক্তার হোসেন মোট ১০৭ জনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.