অনলাইন রিয়েল হিরোস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ইকবাল বিন আনোয়ার

মিরর ম্যাগাজিনের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো আয়োজিত ‘অনলাইন রিয়েল হিরোস অ্যাওয়ার্ড-২০২১’-ভূষিত হলেন দেশের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস পণ্য উৎপাদন ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন গ্রুপের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী পরিচালক (গেমস অ্যান্ড স্পোর্টস, মার্কেটিং) এফ এম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন)। গত ১ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে জমকালো অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে মিরর এই পুরস্কার প্রদান করে।

৪ ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন সেক্টরে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা দেশের গণ্যমাণ্য ৫৬ জন ব্যক্তিবর্গকে রিয়েল হিরোস অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করা হয়। ইকবাল বিন আনোয়ার ‘ফ্রন্টলাইন হিরোস’ ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত হন। সাবেক ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী শ্রী বীরেন শিকদার (এমপি) তার হাতে মর্যাদার ফ্রন্টলাইন হিরোস অ্যাওয়ার্ডটি তুলে দেন। এ সময় মঞ্চে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. হাসান মুরাদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, মিরর ম্যাগাজিনের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং অনুষ্ঠানের আয়োজক মালা খন্দকার, বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল সালাম মুর্শেদী, এমপি ছাড়াও বিনোদন জগতের তারকারা উপস্থিত ছিলেন।

ক্রিকেট থেকে শুরু করে মোরগ লড়াই কিংবা নৌকাবাইচ- দেশের এহেন কোনো স্পোর্টস ইভেন্ট নেই যেখানে পা পড়েনি ওয়ালটনের। মিরর ম্যাগাজিন ‘ফ্রন্টলাইন হিরোস’ অ্যাওয়ার্ডে এফ এম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন)কে বেছে নেয়ার পেছনের মূল কারণও এটি। দেশের জনপ্রিয় ক্রীড়া ইভেন্ট ক্রিকেটে স্পন্সরের কোনো অভাব নেই। ফুটবল, হকিতেও অনেকে আগ্রহ নিয়ে স্পন্সরশিপের জন্য এগিয়ে আসে। তবে দেশের বাকি স্পোর্টস ইভেন্টগুলোতে সেভাবে কাউকে চোখে পড়ে না। তৃণমূল স্পোর্টসে খুব একটা আগ্রহ নেই কারও। বহু বছর ধরেই ক্রীড়াঙ্গনে এ দৃশ্য অনেকটা নিপাতনে সিদ্ধের মতো।

কিন্তু এ অচলায়নকে ভেঙে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে নতুন দিগান্ত উন্মোচন করেছে ওয়ালটন। তৃণমূল থেকে অবহেলিত ফেডারেশন; এমনকি নন অ্যাফিলিয়েটেড অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত স্পোর্টস ইভেন্টগুলোতেও বছরের পর বছর স্পন্সর করে যাচ্ছে ওয়ালটন। আর সেখানে অগ্রণী ভূমিকা রাখছেন ইকবাল বিন আনোয়ার ডন। জনপ্রিয় ফ্যাশন ম্যাগাজিন মিররের ভাইস প্রেসিডেন্ট মালা খন্দকার আর তার প্যানেল পুরস্কারের জন্য ইকবাল বিন আনোয়ারকে বেছে নিয়েছেন এ কারণেই। এমনটাই জানিয়েছেন আয়োজকরা।

এ বিষয়ে মালা খন্দকার বলেন, আমি মিরর ম্যাগাজিনের ভাইস প্রেসিডেন্ট। আমি একজন ইভেন্ট অর্গানাইজর। আমি জানি একটা ইভেন্ট আয়োজন করতে কতোটা শ্রম দিতে হয়; কষ্ট করতে হয়। সেখানে ডন ভাই তো পুরো ক্রীড়াঙ্গনকে চালিয়ে নিচ্ছেন। বিশেষ করে দেশের অবহেলিত ফেডারেশনগুলোতে তার অবদান চিরস্মরণীয়। আমাদের জাতীয় খেলা কাবাডি। অথচ এই খেলাতে সেভাবে কোনো স্পন্সর এগিয়ে আসে না। ব্যতিক্রম ওয়ালটন এবং এফ এম ইকবাল বিন আনোয়ার ডন। ফ্রন্টলাইন হিরোস অ্যাওয়ার্ডে আমরা ডন ভাইকে পুরস্কৃত করতে পেরে নিজেদের ধন্য মনে করছি। একজন যোগ্য, দক্ষ সংগঠক হিসেবেই ডন ভাই এই পুরস্কারটি পেয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘এবারই প্রথম পুরস্কারটি চালু হয়েছে। প্রথমবারই বিভিন্ন মহল থেকে আমরা ব্যাপক উৎসাহ, সহযোগিতা পেয়েছি। এখন থেকে এটি প্রতি বছরই আয়োজনের ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে আরও বড় পরিসরে, সকলকে সম্পৃক্ত করে এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা রয়েছে।’

মিরর ম্যাগাজিন থেকে ফ্রন্টলাইন হিরোস অ্যাওয়ার্ডটি পেয়ে গর্বিত ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালন ইকবাল বিন আনোয়ার ডন। পুরস্কার জেতার অনুভূতি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি যে কোনো পুরস্কার লাভ হলো কাজের স্বীকৃতি। মিরর ম্যাগাজিন আমাকে যে পুরস্কারে ভূষিত করেছে এটি পেয়ে সত্যিই আমি ভীষণ আনন্দিত, গর্বিত। ওয়ালটনের জন্যই মূলত পুরস্কারটি অর্জন করা আমার পক্ষে সম্ভব হয়েছে। এই গর্বের ভাগিদার শুধু আমি একা নই; এ সম্মান আমাদের পুরো ওয়ালটন পরিবারের। আমি মনে করি আমরা ওয়ালটন পরিবার পৃষ্ঠপোষক না; ইনভেস্টর। আর এই ইনভেস্টের ফল তখনই আমরা হাতে পাব; যখন দেশের কোনো ক্রীড়াবিদ বিশ্ব দরবার থেকে বাংলাদেশের জন্য সাফল্য-সম্মান বয়ে আনবে। পুরস্কার কাজের গতি-পরিধিকে আরও বাড়িয়ে দেয়। অনলাইন রিয়েল হিরোস পুরস্কারটি আমার কাজের গতিকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। মিরর ম্যাগাজিনের সম্মানিত ভাইস প্রেসিডেন্ট মালা খন্দকারকে আমি বিশেষ ধন্যবাদ জানাতে চাই এমন একটি মর্যাদাকর সম্মানে আমাকে ভূষিত করেছেন বলে।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.