কাবুল বিমানবন্দরে ফের রকেট হামলা

আবারও রকেট হামলা হয় কাবুল বিমানবন্দরে। সোমবার (৩০ আগস্ট) সকালে পরপর পাঁচটি রকেট উড়ে আসে বিমানবন্দরের দিকে। তবে অ্যান্টি রকেট সিস্টেমে রকেটগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। পেন্টাগন ও স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স রকেট হামলার কথা জানিয়েছে।

এর আগে রোববার কাবুল বিমানবন্দরের অদূরে ড্রোন হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, একটি গাড়িতে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ভরে এক মানববোমা বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছিল। ড্রোনের সাহায্যে বিমানবন্দর থেকে কিছুটা দূরে সেই গাড়ির উপর হামলা চালানো হয়। গাড়ির ভিতর বিস্ফোরক থাকায় বিশাল বিস্ফোরণ হয়। রোববার রাতে পেন্টাগন স্বীকার করেছে, ওই বিস্ফোরণের ফলে সাধারণ মানুষেরও মৃত্যু হয়েছে।

রাতে পেন্টাগনে মার্কিন সেন্ট্রাল কম্যান্ডের মুখপাত্র বিল আরবান বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, ‘বিস্ফোরক বোঝাই গাড়িতে হামলা চালানোর ফলে সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে আমরা খবর পেয়েছি। খুবই দুঃখজনক ঘটনা। গাড়ির ভিতর প্রচুর বিস্ফোরক থাকায় হামলার পরে বিশাল বিস্ফোরণ হয়। তার জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে।’

পেন্টাগনের একটি সূত্র সংবাদমাধ্যম সিএনএন-কে জানিয়েছে, বিস্ফোরণে একই পরিবারের নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে ছয়টি শিশু আছে। পেন্টাগনের অন্য এক সূত্র সংবাদসংস্থা এপি-কে জানিয়েছিল, ঘটনায় তিনটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। কোনো কোনো সূত্রের দাবি, আরো বেশি সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

নিহতরা হলেন- জামারা (৪০), নাসির (৩০), জমির (২০), ফয়সাল (১০), ফারজাদ (৯), আরমিন (৪), বেনিয়ামিন (৩), আয়াত (২) এবং সুমাইয়া (২)।

নিহত এক শিশুর ভাই অভিযোগ করে বলেন, আমরা সাধারণ একটি পরিবার ছিলাম। আমরা জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) নই। এটা আমাদের নিজের বাড়ি।

মার্কিন সময় রোববার বিকেলে পেন্টাগন জানিয়েছিল, এদিন কাবুল বিমানবন্দরে বিস্ফোরণ ঘটানোর উদ্দেশ্যে একটি গাড়িতে বিস্ফোরক ভরে এক মানববোমা এয়ারপোর্টের দিকে যাচ্ছিল। সন্দেহ হওয়ায় মার্কিন গোয়েন্দারা গাড়িটিকে ফলো করে। এরপরেই ড্রোনের সাহায্যে গাড়িটি উড়িয়ে দেওয়া হয়। ড্রোনটি সম্ভবত কাতার থেকে চালনা করা হয়।

এর আগে কাবুল বিমানবন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল ইসলামিক স্টেট খোরাসান। এদিনও তারাই হামলা চালানোর চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যু্ক্তরাজ্যের গোয়েন্দারা তখনই জানিয়েছিলেন, কাবুল বিমানবন্দরে আরো হামলা চালাতে পারে আইএস। বস্তুত, রোববারের ঘটনার পরেও নতুন করে সতর্কবার্তা জারি হয়েছে। এ ধরনের আরো আক্রমণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ৩১ অগাস্ট অ্যামেরিকা সহ সমস্ত পশ্চিমা দেশের কাবুল ছাড়ার শেষ দিন। তার আগে আইএস কাবুল বিমানবন্দরে হামলা চালিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। সূত্র: ডিডাব্লিউ, এপি, এএফপি, রয়টার্স, সিএনএন

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.