ইতিহাসের খাতিরে আজ সত্যি কথা বলতেই হবে: কাদের

বিএনপি এখন মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত সাম্প্রদায়িক অপশক্তির মুখপাত্রে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নাকি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিশ্বাস করে না, বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যে নিজেদের স্বাধীনতাবিরোধী চরিত্রকে জনগণের কাছে আবারও স্পষ্ট করে তুলেছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) বিকালে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ করপোরেশন-বিআরটিসির প্রধান কার্যালয়ে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিশ্বাস করে না- বিএনপি নেতাদের এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতাদের বক্তব্য শুনলে মনে হয় তারা পোস্ট-কোভিড জটিলতার মতো মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত অপশক্তির সঙ্গে থেকে এবং রাজনীতি করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিষয়ক জটিলতায় ভুগছেন।

বিএনপি পরাজিত অপশক্তির স্বার্থরক্ষার রাজনীতি করতে গিয়ে এখন নিজেদের পরিচয় এবং অবস্থানও ভুলে গেছে বলেও মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

ইতিহাসের খাতিরে আজ আগামী প্রজন্মের জন্য সত্যি কথা বলতেই হবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভূতের মুখে রাম রাম ধ্বনির মতো বিএনপি নেতারা আজ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলছেন। ন্যূনতম লজ্জা থাকলে তারা এসব কথা বলতেন না।

তিনি বিএনপি নেতাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, আপনারাই তো এদেশে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছেন। আপনারাই তো রক্তমূল্যে অর্জিত স্বাধীন দেশের পতাকা পরাজিত শক্তির গাড়িতে উড়ানোর সুযোগ করে দিয়েছিলেন।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, কোথায় ছিল তখন আপনাদের এই বহুরূপী চেতনা? মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পদে পদে ভূলুণ্ঠিত করে আজ সাধু সাজার অপচেষ্টা জনগণ মেনে নেবে না।

আওয়ামী লীগ নয়, বিএনপিই এখন সর্বজন স্বীকৃত ছদ্মবেশী লুটেরা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্রের নামে লুটপাট তন্ত্রই বিএনপির লক্ষ্য।

মুখোশের আড়ালে বিএনপির বিকৃত মুখচ্ছবি এখন জনগণের কাছে স্পষ্ট, জনগণ ছদ্মবেশী বেনিয়া আর চেতনাধারীদের আর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় দেখতে চায় না বলে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংসকারী বিএনপি এখন কথামালা দিয়ে আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়।

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছেন আমাদের আস্থার ঠিকানা, আশার নিউক্লিয়াস, উন্নয়ন-অগ্রযাত্রার পুরোধা উল্লেখ করে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী বলেন, পিতার উন্নয়নের পথরেখা ধরেই তার নেতৃত্বে আজ অদম্য এক নতুন বাংলাদেশের এগিয়ে চলা।

তিনি বলেন, আজ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশের অনন্য অর্জনের সৌরভ, আর্থ-সামাজিক প্রতিটি সূচকে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়ার গৌরব।

বিআরটিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্যোগে ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় সংযুক্ত ছিলেন- সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.