বৃষ্টিতে নালা-রাস্তা একাকার, তলিয়ে গেলেন পথচারী

ভারি বৃষ্টিপাতে চট্টগ্রাম নগরের অধিকাংশ নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় স্রোতের টানে নগরের মুরাদপুর এলাকার নালায় তলিয়ে গেছেন এক পথচারী। পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টায়ও তাকে উদ্ধার করতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

আজ বুধবার (২৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর মুরাদপুর মোড় এলাকার ছালেহ আহমেদ (৫০) নামে ওই পথচারী নালায় পড়ে যান বলে তার ছেলে ও ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ছালেহ আহমেদের ছেলে ও ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা জানান, এক নারী ও তার ছেলেকে নিয়ে ফটিকছড়ির মাইজভান্ডার দরবার শরীফে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন ছালেহ আহমেদ। ফটিকছড়ির বাস ধরার জন্য তারা ওই মোড়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় ঘটনাটি ঘটে। এ সময় বৃষ্টির পানিতে নালা ও রাস্তা একাকার হয়ে গিয়েছিল। সড়কে গাড়ি চলাচলও কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তখন রাস্তা পার হওয়ার সময় ছালেহ আহমদ পানিতে পড়ে নিখোঁজ হন।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল এসে ছালেহ আহমদকে খুঁজতে অভিযান শুরু করে। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দলের প্রধান বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, নালাটি বড়। প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

ঘটনাস্থলে রয়েছেন ছালেহ আহমেদের ছেলে মাহিন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, তার বাবা চকবাজারে সবজি বিক্রি করেন। সকালে বাবা মাইজভান্ডার দরবার শরীফে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হয়েছেন।

সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বুধবার ভোর রাত থেকে চট্টগ্রামে থেমে থেমে ভারি কিংবা মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছে। এতে নগরের হালিশহর, আগ্রাবাদ, মুরাদপুর, ২ নম্বর গেট, বাকলিয়া ও চান্দগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকার কোথাও হাঁটু, কোথাও কোমর পরিমাণ পর্যন্ত পানিতে তলিয়ে যায়।

চট্টগ্রামের আমবাগান আবহাওয়া অফিসে গত ২৪ ঘণ্টায় শহরে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১১০ মিলিমিটার। একই সময় পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসে রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ মিলিমিটার।

চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা আবহাওয়াবিদ শেখ ফরিদ বলেন, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। চট্টগ্রামের মূল শহরে বৃষ্টিপাত বেশি হয়েছে এবং উপকূলীয় এলাকায় একটু কম হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে চট্টগ্রামে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.