বর্ণবাদের অভিযোগের পর ক্ষমা চাইলেন বাউচার

দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটে বর্ণবাদের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। এ কারণে লম্বা সময়ের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত হতে হয়েছিল তাদের। এবার একই অভিযোগ উঠেছিল মার্ক বাউচারের বিরুদ্ধে। এরপর ক্ষমা চেয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তী এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।

যদিও দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বর্তমান এই প্রধান কোচ মনে করেন তার খেলোয়াড়ি দিনগুলোতে দলের সংস্কৃতিই ছিল ভিন্ন। এজন্য সচেতনতাকে দায়ী করেছেন বাউচার। বর্ণ বিদ্বেষের অভিযোগের পর তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার সোশ্যাল জাস্টিস অ্যান্ড নেশন বিল্ডিং (এসজেএন) কমিটিকে ১৪ পৃষ্ঠার হলফনামা জমা দিয়েছেন। শুনানির পর আরও বিস্তারিতভাবে এই হলফনামা পেশ করতে চান সাবেক এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।

বাউচার বলেছেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ওঠা বর্ণবাদী মন্তব্যের অভিযোগে আমি নিঃস্বার্থভাবে ক্ষমা চাইছি। আমরা ক্রিকেটাররা, নির্বাচকরা ও ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা, সকলেরই আরও সংবেদনশীল হয়ে এমন একটা পরিবেশ গঠন করা উচিত ছিল যেখানে ক্রিকেটাররা সংকোচহীনভাবে নিজেদের এই প্রকার সমস্যার কথা খুলে বলত পারত, যা স্বাভাবিকভাবেই তাঁরা পারেননি।’

বাউচারের বিপক্ষে বর্ণ বিদ্বেষের অভিযোগ তুলেছিলেন তারই সাবেক সতীর্থ পল অ্যাডামস। ১৯৯০ এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সতীর্থরা তাকে ‘বাদামী বিষ্ঠা’ নামে ডাকতো বলেও অভিযোগ করেছিলেন। এরপরই শুরু হয় বাউচারকে নিয়ে সমালোচনার ঝড়। অবশ্য বাউচার জানান এই নাম তিনি দেননি। এমনকি এই নাম কে দিয়েছিল সেটাও তিনি জানেন না। যদি সেই সময়ের দলের একটি গ্রুপের অংশ ছিলেন বলে স্বীকার করে নেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক এই সহ-অধিনায়ক। দলের জয়ের পর তারা সম্মিলিত হয়ে একটি গান গাইতেন।

সেখানেই অ্যাডামসকে ‘বাদামী বিষ্ঠা’ ডাকা হতো। এ ছাড়াও দলের উদযাপনে এমন সব কিছু করা হতো যা অনেক ক্রিকেটারের কাছেই অগ্রহণযোগ্য ও আপত্তিকর ছিল। যদিও অ্যাডামস ছাড়া সেই দলের অন্য কোনো ক্রিকেটার এখনও পর্যন্ত কোনো অভিযোগ করেননি।

ক্ষমা চেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার এই সাবেক ক্রিকেটার বলেছেন, ‘বৈষম্যমূলক গানের অংশীদার হওয়ায় আমি নিঃস্বার্থ ক্ষমা চাইছি। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে পরিণত হওয়ায় আমি মানছি আমি এমন কিছু বলেছি বা করেছি, যা হয়ত আমার কিছু সতীর্থের বিক্ষুব্ধ করেছে।’

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.