কাঠগড়ায় বসে মুঠোফোনে কথা বলেছেন ওসি প্রদীপ

আলোচিত মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার আসামি টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ শুনানির সময় কাঠগড়ায় মোবাইল ফোনে কথা বলেছেন।

সোমবার (২৩ আগস্ট) কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলার প্রথম দিনের সাক্ষ্য নেওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। তখনকার একটি ছবি বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

সোমবার কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সিনহা হত্যা মামলার সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ চলছিল। এ সময় কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন প্রদীপসহ মামলার ১৫ জন আসামি। প্রদীপের পরনে ছিল কালো রঙের জামা। ছড়িয়ে পড়া ছবিতে তাকে কালো রঙের জামা পরে থাকতে দেখা যায়। তবে মঙ্গলবার সাক্ষ্য গ্রহণের দ্বিতীয় দিন প্রদীপ আদালতে আসেন লাল রঙের জামা পরে। এ সময় তাকে কড়া নজরদারিতে রাখা হয়।

আগের দিন সাক্ষ্য গ্রহণের কোনো এক ফাঁকে আদালতের কাঠগড়ায় বসে প্রদীপ মুঠোফোনে কথা বলেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ–সংক্রান্ত ছবিটি সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। একটি টেলিভিশন চ্যানেলেও ওই ছবি প্রচার করা হচ্ছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, আদালত কক্ষের কাঠগড়ার ভেতরে হাঁটু গেড়ে বসে আছেন প্রদীপ। হাতে থাকা মুঠোফোনে কারও সঙ্গে তিনি কথা বলছিলেন। তার মাথায় চুল নেই। ফলে ছবিটি যে প্রদীপের, তা স্পষ্টভাবে শনাক্ত করা যায়। ঘটনার সময় কয়েকজন ব্যক্তি তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, মুঠোফোনে ওসি প্রদীপ লম্বা সময় কথা বলেন। সম্ভবত তিনি বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। কথা বলার জন্য মুঠোফোনটি ওসি প্রদীপকে সরবরাহ করেন দায়িত্বরত একজন পুলিশ সদস্য।

সংশ্নিষ্টরা জানান, আদালতের আচরণবিধি অনুযায়ী, আদালত চলাকালে মোবাইল ফোন বন্ধ রাখতে হবে। অর্থাৎ মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যাবে না।

এদিকে মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দ্বিতীয় দিনে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে প্রদীপের ছবি তোলেন সাংবাদিকরা। তখন তিনি বিরক্তি নিয়ে বলেন, আমাকে নতুন করে চেনানোর দরকার নেই।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি (টেকনাফে দুটি ও রামুতে একটি) মামলা করে। পুলিশের মামলায় সিনহার সঙ্গে থাকা সাহিদুল ইসলাম সিফাতকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

সিনহা যেখানে ছিলেন, সেই হিমছড়ির নীলিমা রিসোর্ট থেকে তার দুই সহযোগী শিপ্রা দেবনাথ ও তাহসিন রিফাত নুরকেও আটক করা হয়। নুরকে ছেড়ে দিলেও শিপ্রা ও সিফাতকে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। পরে তারা জামিনে মুক্তি পান।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.