পুরনো ফ্রিজ কিনে ভাগ্য খুলে গেল যুবকের

অর্থ সাশ্রয়ের জন্য পুরনো ফ্রিজ কেনেন এক যুবক। তবে এই ফ্রিজেই ভাগ্য খুলে যায় তার। পুরনো ওই ফ্রিজ কিনে কোটিপতি বনে যান ওই যুবক। যদিও ফ্রিজ থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা নিজে হস্তগত করেননি। পরিবর্তে পুলিশের হাতে তা তুলে দিলেন তিনি।

সম্প্রতি একটি পুরনো ফ্রিজ কেনার ভাবনাচিন্তা ছিল যুবকের। অনলাইন বিপণন সংস্থায় পছন্দসই ফ্রিজ পেয়ে যান। অর্ডারও দিয়ে দেন। কয়েকদিনের মধ্যে বাড়িতেও চলে আসে। অর্ডার দেওয়া জিনিস বাড়িতে এসেছে বলে কথা! তাই তো তড়িঘড়ি তাকে পরিষ্কার করতে বসেন ওই যুবক। তবে ফ্রিজ খুলতেই কার্যত হতভম্ব হয়ে যান তিনি। দেখেন ফ্রিজে সাজানো কমপক্ষে নগদ এক কোটি টাকা। এত টাকা দেখে অবাক হওয়াই স্বাভাবিক। তাই-ই হলেন তিনি।

টাকা নিয়ে চুপচাপ থাকতে পারতেন। তবে তাতে আইনি বিপাকে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা ছিল প্রবল। সে কারণে কোনও ঝুঁকি নেননি ওই যুবক। তড়িঘড়ি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। খুলে বলেন গোটা বিষয়টি। এত টাকার কথা শুনে হতচকিত হয়ে যায় পুলিশও।

বর্তমানে ওই বিপুল টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ফ্রিজের বিক্রেতার খোঁজ চলছে। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার আইন অনুযায়ী, যদি টাকার আসল মালিককে চিহ্নিত করা না যায় তাহলে ২২ শতাংশ কেটে নিয়ে বাকি ফ্রিজের ক্রেতাকে দিয়ে দেওয়া হবে। তবে ফ্রিজ থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া টাকা যদি কোনও অপরাধমূলক কাজের মাধ্যমে উপার্জিত হয়, তবে তা আর ফেরত পাবেন না কেউই। পরিবর্তে টাকার প্রকৃত মালিকের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে আইনানুগ ব্যবস্থা।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.