‘পরীমণির সঙ্গে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে’

মাদক মামলায় গ্রেফতার চিত্রনায়িকা পরীমণির ন্যায় বিচার চেয়ে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সমাবেশ করেছেন বিক্ষুব্ধ নাগরিকজন।

রোববার (২২ আগস্ট) বিকেল ৪টায় শুরু হয়ে এই সমাবেশ শেষ হয় বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে। সমাবেশে বক্তারা পরীমণির ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন। বিচারের আগেই তাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও নানা গণমাধ্যমে হেয়প্রতিপন্ন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বক্তারা। সেই সাথে পরীমণির বিষয়ে ইতিবাচক খবর প্রকাশের জন্য গণমাধ্যমগুলোর প্রতি আহবানও জানানো হয় সমাবেশ থেকে।

সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল বলেন, পরীমণি নারী বলে তাকে এতটা হেয়প্রতিপন্ন হতে হচ্ছে। পরীমণির সঙ্গে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। যে অপরাধে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেটি জামিনযোগ্য অপরাধ অথচ তাকে একের পর এক রিমান্ডে দেওয়া হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার ক্ষমতায় থাকতে এমনটা হতে পারে না। সরকারের একটা বাহিনী একজন অভিনেত্রীর প্রতি এতটা নির্দয় আচরণ করতে পারে না।

এছাড়া পরীমণিকে নিয়ে নির্মিতব্য ‘প্রীতিলতা’ সিনেমার পরিচালক রশিদ পলাশ বলেন, এই সময় পরীমণির প্রীতিলতা সিনেমার শ্যুটিংয়ে থাকার কথা ছিলো। অথচ সে মাদক মামলায় জেলে। তার সাথে অনেক অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে। জামিনযোগ্য একটি মামলায় তাকে বার বার রিমান্ডে দেওয়া হচ্ছে। তাকে তার আইনজীবীর সাথেও কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। এই অবস্থা থেকে বের হয়ে কী পরীমণি শ্যুটিং করার মতো মানসিক ভারসাম্য ধরে রাখতে পারবে? আমরা তার ন্যায় বিচার দাবি করি।

সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য প্রদান করেন মানবাধিকার কর্মী খুশি কবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সাদেকা হালিম, জাবি অধ্যাপিকা স্নিগ্ধা রেজওয়ান এবং বিভিন্ন স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেত্রীবৃন্দ।

উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট পরীমণিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র‍্যাব। অভিযান শেষে র‍্যাবের দাবি পরীমণির বাসা থেকে নতুন মাদক এলএসডি, মদ ও আইস উদ্ধার করা হয়েছে। তার ড্রয়িং রুমের কাবার্ড, শোকেস, ডাইনিং রুম এবং বেড রুমের সাইড টেবিল ও টয়লেট থেকে বিপুল মদের বোতল উদ্ধার করা হয় বলেও দাবি করা হয়। পরদিন বিকেলে পরীমণি, প্রযোজক ও অভিনেতা মো. নজরুল ইসলাম রাজ এবং তাদের দুই সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপু ও মো. সবুজ আলীকে বনানী থানায় সোপর্দ করে র‍্যাব।

এরপর র‍্যাব বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় পরীমণি ও তার সহযোগী দীপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে৷

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.