২ কাউন্সিলরের সঙ্গে খাদ্য সহায়তার নামে প্রতারণা

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির খাদ্য সহায়তা দেওয়ার নামে প্রতারকরা টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। মোবাইল ফোনে কল করে তারা পৌরসভার দুজন কাউন্সিলরের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে ৫৭ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। প্রতারণার বিষয়টি জানাজানি হলে পৌরসভার মেয়র ও অন্য কাউন্সিলররা সতর্ক হয়।

রায়পুর পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট জানিয়েছেন, প্রতারকরা তিনদিন ধরে ফোন করে খাদ্য সহায়তার দিবে বলে তালিকা চাচ্ছিলেন। তারা আমাকেও ১৫০ জনের সহায়তা দেওয়ার টোপ দিয়েছিল। এর মধ্যে কাউন্সিলর খায়রুল আলম রুবেল প্রধানিয়ার কাছ থেকে ৫২ হাজার ও মাহবুবুর রহমান রিজভী ৫ হাজার টাকা নিয়ে গেছে।

এদিকে এর আগেও একই কায়দায় প্রতারকরা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মারুফ বিন জাকারিয়ার কাছ থেকে দুই লাখ ও বামনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামছুল হুদার কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা নিয়ে গেছে। অতিরিক্ত খাদ্য সহায়তা দিবেন বলে বিকাশে টাকা নিয়েছে।

পৌরসভার ৪ জন কাউন্সিলর জানিয়েছেন, তাদেরকে লক্ষ্মীপুর রেড ক্রিসেন্ট কার্যালয়ের কর্মকর্তা আরিফ পরিচয় দিয়ে কল করা হয়। বলা হয়, প্রত্যেক কাউন্সিলরের কাছে ১০ জন গরিবের জন্য খাদ্য সহায়তা হিসেবে ৩০ কেজি চাল, ৫ কেজি ডাল, ৫ লিটার তেল ও ৪ হাজার ২০০ টাকা করে দেওয়া হবে। তাদেরকে (কাউন্সিলর) তালিকা পাঠাতে বলেন। পরবর্তীতে আবার ফোন করে বলা হয়, অতিরিক্ত বরাদ্ধও আছে। কেউ চাইলে ফরম বাবদ ৩২০ টাকা করে বিকাশে পাঠিয়ে নিতে পারবেন। এভাবে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে রায়পুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র-২ মেহেদী হাসান শিশির পাঠান বলেন, রেড ক্রিসেন্টের খাদ্য সহায়তা ও টাকা দেওয়ার কথা বলে আমাকে ৪-৫ বার ফোন করে তালিকা দিতে বলা হয়। তারা অতিরিক্ত বরাদ্ধের জন্য ৩৫ হাজার টাকা বিকাশে পাঠাতে বলেন। বিষয়টি ভুয়া, নিশ্চিত হওয়ার পর আমি টাকা পাঠাইনি। এখন তাদের মোবাইল ফোন নম্বর দুইটি বন্ধ রয়েছে।

জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান বলেন, এমন প্রতারণা কথা শুনেছি। রেড ক্রিসেন্ট জনগণকে বিনামূল্যে খাদ্য সহায়তা ও সুরক্ষা সামগ্রী দিয়ে আসছে। সুনাম ক্ষুণ্ণ করার জন্য প্রতারকরা প্রতিষ্ঠানটির নাম ব্যবহার করছে। এজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.