১১শ’ কোটি টাকা আত্মসাৎ: ই-অরেঞ্জের সিওও কারাগারে

এক হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় ই-অরেঞ্জের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) আমান উল্যাহকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবুবকর ছিদ্দিক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম আসামি আমান উল্যাহর ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। তবে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে উপস্থিত না থাকায় তার উপস্থিতিতে আগামী ২৩ আগস্ট রিমান্ড শুনানির দিন ঠিক করেন।

এ মামলায় ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমানেরও ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। ওই দিন এ দুই আসামির রিমান্ড শুনানিও হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।

বুধবার সন্ধ্যায় আমান উল্যাহকে গুলশান এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে ২৪টি ক্রেডিট কার্ড, ১৬ লাখ টাকা এবং গাড়ি জব্দ করা হয়।

আর মামলা দায়েরের পরই গত ১৭ আগস্ট সোনিয়া মেহজাবিন ও মাসুকুর রহমানে আদালতে এসে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ১৬ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন ই-অরেঞ্জের প্রতারণার শিকার মো. তাহেরুল ইসলাম নামের এক গ্রাহক। এ সময় প্রতারণার শিকার আরও ৩৭ জন উপস্থিত থেকে তার সঙ্গে সাক্ষ্য দেন।

মামলায় তাহেরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, তিনি গত ২১ এপ্রিল পণ্য কেনার জন্য ই-অরেঞ্জে অগ্রিম টাকা দেন। তবে ই-অরেঞ্জ নির্ধারিত তারিখে পণ্য সরবরাহ করেনি। টাকাও ফেরত দেয়নি। নিজেদের ফেসবুক পেজে বার বার নোটিশ দিয়েছে। সময় চেয়েছে। কিন্তু পণ্য ও টাকা দেয়নি। সর্বশেষ তারা গুলশান-১ এর ১৩৬/১৩৭ নম্বর রোডের ৫/এ নম্বর ভবনে অবস্থিত অফিস থেকে পণ্য ডেলিভারির কথা বললেও তারা ডেলিভারি দেয়নি। এছাড়াও তারা যে বিভিন্ন আউটলেটের গিফট ভাউচার বিক্রি করেছিল, সেগুলোর টাকা আটকে রাখায় আউটলেটগুলো ভাউচারের বিপরীতে পণ্য দিচ্ছে না।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.