বিপৎসীমার ওপরে তিন নদীর পানি, বন্যার আশঙ্কা

নীলফামারীতে তিস্তা নদীর পানি চার দিন ধরে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া পদ্মা ও যমুনা নদীর পানিও বিভিন্ন পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ার আভাস রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে- তিন নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়েছে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য বন্যা প্রবণ নদ-নদীর পানিও বিপৎসীমার কাছাকাছি চলে এসেছে। বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটারের মধ্যে পানির সমতল চলে এলেই অববাহিকায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

বর্তমানে তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, গোয়ালন্দে পদ্মার পানি বিপৎসীমার ২৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং কামারখালিতে গড়াই নদীর পানি বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
নদ-নদীর পানি বাড়ায় দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এটাকে স্বল্পমেয়াদী বলা হলেও ধীরে ধীরে নতুন করে প্লাবিত এলাকার সংখ্যা বাড়ছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানিয়েছেন, সুরমা ছাড়া দেশের সব প্রধান নদ-নদী গুলোর পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা শুক্রবার (২০ আগস্ট) পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এই সময়ে তিস্তা নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে এবং অববাহিকাভুক্ত নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।

এছাড়া শনিবার নাগাদ রাজবাড়ী ও ফরিদপুর জেলার নিম্নাঞ্চলগুলোতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। শুক্রবারের মধ্যে যমুনা নদী মথুরা ও আরিচা পয়েন্টে এবং পদ্মা নদী সুরেশ্বর পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।

পাউবো বলছে, তাদের পর্যবেক্ষণাধীন বিভিন্ন নদ-নদীর ১০৯টি স্টেশনের মধ্যে বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) পানির সমতল বেড়েছে ৬৭টিতে। তিনটি স্টেশনের পানির সমতল অপরিবর্তিত আছে। কমেছে ৩৮টি স্টেশনের পানির সমতল। একটি তথ্য সংগ্রহ শুরু হয়নি। বিপৎসীমার ওপরে তিন নদীর পানি।

এদিকে বাংলাদেশের উত্তরে এবং তৎসংলগ্ন ভারতীয় রাজ্যগুলোতে বৃষ্টিপাত বাড়ছে। আসাম, মেঘালয়, দার্জিলিং, পশ্চিমবঙ্গে (জলপাইগুড়ি) বৃষ্টিপাত আরও বাড়ার আভাস রয়েছে। এক্ষেত্রে বাড়তে পারে ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পানিও।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.