জনগণের ওপর প্রতিশোধ নেওয়া হবে না: তালেবান মুখপাত্র

আফগানিস্তান দখল করে নেওয়া তালেবান মুখপাত্র ইয়ালদা হাকিম বলেছেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের অপেক্ষায় আছি। তিনি এটাও বলেন, আফগানিস্তানের মানুষের ওপর কোনো ধরনের প্রতিশোধ নেওয়া হবে না।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

রোববার কাবুল দখলের পর ইয়ালদা হাকিম আরও বলেন, ‘আমরা আফগানিস্তানের জনগণ, বিশেষ করে কাবুলের বাসিন্দাদের আবারও আশ্বস্ত করতে চাই যে, তাদের জানমাল নিরাপদে আছে। কারও ওপর কোনো প্রতিশোধ নেওয়া হবে না।‘

আমরা জনগণ ও দেশের সেবক বলে মন্তব্য করে তালেবান মুখপাত্র।

এদিকে রাজধানী দখলের পর আফগানিস্তানে যুদ্ধ শেষ করার ঘোষণা দিয়েছে তালেবান। দেশটির রাজধানী কাবুলে প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেস দখল এবং প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির দেশ ত্যাগের মধ্য দিয়ে যুদ্ধের সমাপ্তি হয়েছে। সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরা এ তথ্য জানায়।

আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি রোববার দেশত্যাগ করেন। ঘানি বলেছেন, রক্তপাত এড়াতে তার হাতে আর কোনো বিকল্প ছিল না।

রাতে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, লাখো মানুষ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ‘সংঘাত এড়ানোর জন্যই’ আমি কাবুল ছেড়েছি।

কাবুলে তালেবান ঢোকার পর শহরে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এর মধ্যে ইউরোপের দেশগুলো তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে হিমশিম খাচ্ছে। দেশ ছাড়তে মরিয়া কয়েকশ’ আফগানও কাবুল বিমানবন্দরে এসে ভিড় করেছেন।

এমন পরিস্থিতিতে তালেবানের রাজনৈতিক শাখার মুখপাত্র মোহাম্মদ নাইম আলজাজিরাকে বলেন, তালেবান বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকতে চায় না। আফগানিস্তানের নতুন সরকার কেমন হবে তা দ্রুতই জানিয়ে দেওয়া হবে।

তালেবানের এ মুখপাত্র শান্তিপূর্ণ আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বজায় রাখার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ, আমাদের দেশে যুদ্ধ শেষ।’

প্রসঙ্গত ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তান তালেবানের শাসনে ছিল। এর মধ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আল কায়েদার নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা জোট সেখানে যৌথ অভিযান চালায়, যার মাধ্যমে তালেবান শাসনের অবসান ঘটে।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.