প্রাইভেটকার খাদে পড়ে চীনা নাগরিকসহ নিহত ৩

বরগুনার আমতলীতে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে দুই চীনা নাগরিকসহ তিনজন প্রকৌশলী নিহত হয়েছেন। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছেন প্রাইভেটকারচালক। তারা তিনজনই তালতলীর খোট্টারচর এলাকার তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

সোমবার (১৬ আগস্ট) ভোরে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে আমতলী থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। নিহতরা হলেন- বরগুনার তালতলী উপজেলার নির্মাণাধীন তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের চীনা সাংহাই ইলেকট্রিক পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কোম্পানির সেফটি অফিসার লিওয়েন তাও, প্রকৌশলী লুজিকলং এবং দোভাষী প্রকৌশলী মো. ফখরুল হাসান।

নিহত প্রকৌশলী মো. ফখরুল হাসানের বাড়ি ঢাকার গুলশানে। তার বাবার নাম মো. আনিসুর রহমান। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ওই মাইক্রোবাসের চালক মো. মুসা মৃধা। তার বাড়ি পটুয়াখালী সদর উপজেলার খলিশাখালি গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের আব্দুস সালাম মৃধার ছেলে।

পুলিশ জানায়, ঢাকা থেকে একটি মাইক্রোবাসে ওই তিন কর্মকর্তা বরগুনার তালতলীতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে তাদের বহন করা মাইক্রোবাসটি (ঢাকা মেট্রো-হ-১৩-১৫৭৪) আমতলীর কেওয়াবুনিয়া এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের খাদে পড়ে পানিতে তলিয়ে যায়।

খবর পেয়ে আমতলী থানা পুলিশ মাইক্রোবাসে থাকা চারজনকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আহত মাইক্রোবাস চালক মো. মুসা মৃধা করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় তাকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশনে ভর্তি করেছে পুলিশ।

স্থানীয় বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বলেন, গভীর রাতে গাড়ি খাদে পড়ে যাওয়ার বিকট শব্দে স্থানীয়রা এগিয়ে আসেন। কিন্তু অন্ধকারাচ্ছন্ন রাতে গাড়ি পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় তাদের উদ্ধারে ব্যর্থ হয়। পরে পুলিশ এসে গাড়ির ভেতর থেকে চারজনকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

আমতলী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, খবর পেয়ে দুর্ঘটনায় হতাহত চারজনকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন আর মাইক্রোবাসের চালক করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ভর্তি করা হয়েছে।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.