মোশতাক ও জিয়া বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারী: আইনমন্ত্রী

খন্দকার মোশতাক ও জিয়াউর রহমানকে খুনি অভিহিত করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার ষড়যন্ত্র ও হত্যাকারী।

রোববার আখাউড়া উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড থেকে নিজেদের বাঁচানোর জন্য তারা যে আইন পাস করেছিলেন তা জঙ্গলের পশুরাও করে না।

এ সময় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত চলেছে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার চক্রান্ত। এমনকি তখন খবরের কাগজে পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর নামটা লেখা যেত না। আওয়ামী লীগ যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতারা প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী পালন করতে গিয়ে।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে তারা রাজাকার আলবদরকে দেশ শাসন করার রাস্তা করে দিয়েছিল। আর সে কাজটি খুনি জিয়াউর রহমান থেকে শুরু হয়েছিল। তিনি তার প্রথম প্রধানমন্ত্রী করেন রাজাকার শাহ আজিজুর রহমানকে। তিনি মন্ত্রী বানান যারা রাজাকার ছিলেন তাদের। যারা আইয়ুব খানের মন্ত্রী ছিলেন, যারা ইয়াহিয়া খানের দোসর ছিলেন তাদের মন্ত্রী করেন জিয়া।

আনিসুল হক আরও বলেন, জিয়াউর রহমান শুধু যে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সঙ্গে জড়িত তা নয়; এটা পরিষ্কার যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকেও তিনি বিশ্বাস করতেন না। এমনকি খুনি জিয়াউর রহমান এটিও প্রমাণ করে দিয়ে গেছেন যে, তিনি আইনের শাসনেও বিশ্বাসী ছিলেন না।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর যারা হত্যাকারী তাদের বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে সারাবিশ্বে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনের চাকরির ব্যবস্থা করেছিলেন খুনি জিয়াউর রহমান।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের এমন অপমানকর কালো অধ্যায় সৃষ্টিকারীদের আমি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করি।

আইনমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা হত্যার মামলা বিচার কাজ শুরু করেন আমার পিতা সিরাজুল হক। ২০০২ সালে আমার পিতার মৃত্যুর পর ২০০৯ সালে আমার মাধ্যমে এ মামলা সর্বোচ্চ আদালতে শেষ হয়।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে যারা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল, বাংলার মানুষের কাছে তাদের মুখ উন্মোচনের জন্য একটি কমিশন গঠন করা হবে। করোনার প্রকোপ কমে এলে এই কমিশন গঠন করা হবে এবং তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।

আনিসুল হক বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের অঙ্গীকার আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি— যতক্ষণ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর সব খুনিকে দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করা না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের ধরে আনার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধুর ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকীর আলোচনা অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমান আক্তার সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য রাখেন আখাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূঁইয়া, পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার জামশেদ শাহ প্রমুখ।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.