তিন বিধিনিষেধ চায় জাতীয় কমিটি

ঈদুল আজহার তৃতীয় দিন থেকে সারাদেশে টানা ১৯ দিন কঠোর বিধিনিষেধ রাখার পর জীবন-জীবিকার জন্য গত ১১ আগস্ট থেকে শিথিল করেছে সরকার।  সেদিন থেকে সবকিছু খুলে দেওয়া হয়েছে। করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিনটি বিষয়ে বিধিনিষেধের পরামর্শ দিয়েছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।

শনিবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই তিন পরামর্শের কথা জানান কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা।

কমিটির সভাপতি বলেন, তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে- যেগুলো এখনো বিধিনিষেধের আওতায় থাকা উচিত।  তার মধ্যে প্রথমেই রয়েছে, পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে না দেওয়া। দ্বিতীয়ত, সব সভা-সমাবেশ বন্ধ করে দিতে হবে।  হোক সেটা রাজনৈতিক, দলীয় বা ধর্মীয়।  তৃতীয়ত, রেস্টুরেন্টগুলো খোলা থাকলেও যেন সেখানে বসে খাওয়া-দাওয়া বা আড্ডা না হয়।  সেখানে শুধু খাবার বিক্রি হবে।

অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা বলেন, এই তিনটি বিষয়ে বিধিনিষেধ আরোপের জন্য আমরা সরকারকে বিশেষভাবে বলেছি।  আমাদের আরও কয়েকদিন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে হবে।  সে অনুযায়ী আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।  আর নয়তো বড় কোনো বিপদের মুখোমুখি হতে হবে- এমন শঙ্কার কথাও জানান তিনি।

তিনি বলেন, আমরা তো লকডাউনের ফল পেয়েছি। দেশে সংক্রমণ হার যেখানে ছিল ৩২ শতাংশের বেশি, তা ১২ শতাংশ কমে এখন ২০ শতাংশের মধ্যে চলে এসেছে।  তার মানে লকডাউন কার্যকর হয়েছে। সুতরাং এই মুহূর্তে বিধিনিষেধগুলো তুলে নেওয়ার ব্যাপারে আমাদের আরেকটু ভেবে নেওয়া উচিত।

সরকার কারিগরি কমিটির পরামর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন করেছে বা করেনি- এমন প্রশ্নের উত্তরে সহিদুল্লা বলেন, সরকার যে আমাদের কোনো পরামর্শ নেয়নি, তা নয়। অনেক পরামর্শই নিয়েছে এবং বাস্তবায়ন করেছে।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.