কংগ্রেস ও রাহুলের টুইটার অ্যাকাউন্ট লক নিয়ে বিতর্ক

কিছুদিন আগেই ভারতে খবরের শিরোনামে এসেছিল টুইটার। তবে সেটা সাবেক তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ এবং বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্রের টুইটার অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া নিয়ে। তখন সোচ্চার ছিল বিজেপি। এবারে প্রথমে রাহুল গান্ধীর অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে স্থগিত করে দেয় টুইটার। তারপর সেটা চালু হলেও সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছিল কংগ্রেসের টুইটার অ্যাকাউন্টও। কংগ্রেসের অভিযোগ, তাদের চার নেতার অ্যাকাউন্টও ব্লক করে দেয়া হয়েছে।

আর এই অ্যাকাউন্ট ব্লক করা নিয়ে হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে। টুইটারের বক্তব্য, এমন কিছু টুইট করা হয়েছিল, যা তাদের নীতিবিরুদ্ধ। তাই অ্যাকাউন্ট লক করে দেওয়া হয়েছে। আর কংগ্রেসসহ বিরোধী নেতারা আঙুল তুলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির উপর। তাদের দাবি, এভাবে কংগ্রেসের মুখ বন্ধ করা যাবে না।

কংগ্রেস নেতা রাহুল দিল্লিতে ধর্ষিতার বাড়ি গিয়ে তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তার ছবি দিয়ে তিনি টুইট করেছিলেন। তারপরই তার অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে ব্লক করে দেয়া হয়।

ভারতের ন্যাশনাল কমিশন ফর চাইল্ড রাইটস টুইটারকে ওই টুইট ডিলিট করে দিতে বলে। বর্তমান জুভেনাইল জাস্টিস ও পস্কো আইন অনুসারে নাবালিকা ধর্ষিতার পরিচয় কোনোভাবে কেউ দিতে পারেন না।

কংগ্রেসের দাবি, বিজেোপির সাংসদ অঞ্জু বালা এবং তফসিলি উপজাতি কমিশন একই ধরনের ছবি দিয়ে টুইট করেছিল, কিন্তু তাদের ক্ষেত্রে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। কংগ্রেসের মিডিয়া সেলের প্রধান রোহন গুপ্তা বলেন, টুইটার সরকারের চাপে কাজ করছে এটা বোঝা যাচ্ছে। ন্যাশনাল কমিশন ফর শিডিউলড কাস্টের অ্যাকাউন্ট থেকে দেয়া ছবি তারা বেশ কয়েকদিন রেখে দিয়েছিল।
আর দলের যোগাযোগের দায়িত্বে থাকা নেতা প্রণব ঝা বলেছেন, রাহুল গান্ধীর পর নরেন্দ্র মোদি ও টুইটার কর্তৃপক্ষ এবার সূরযেওয়ালা, অজয় মাকেন, সুস্মিতা দেবের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে। কংগ্রেস এর প্রতিবাদ করছে এবং তারা লড়াই চালিয়ে যাবে।

দেশটির সংসদের তথ্যপ্রযুক্তি স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান শশী থারুর বলেছেন, এটা ঠিক টুইটারকে আইন মানতে হয়। কিন্তু যেভাবে টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হচ্ছে তা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ। সরকারের উচিত ভয়ঙ্কর অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া। তারা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।

তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন টুইট করে বলেছেন, ‘এটা কী হচ্ছে? কংগ্রেস ও তার নেতাদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়ার ঘটনার নিন্দা করছি।’

বিজেপি-র বক্তব্য, টুইটার আইন মেনে চলেছে। আর তার জন্য কংগ্রেস হইচই করছে। সিদ্ধান্তটা টুইটার কর্তৃপক্ষের। তার জন্য মোদির দিকে কেন আঙুল তোলা হবে? সূত্র: ডিডাব্লিউ, পিটিআই, এনডিটিভি

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.