পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিবিধ খাতের কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ারের বাজারদর একশ টাকা পর হয়েছে। আজ বুধবার (১১ আগস্ট) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) শেয়ারটির ক্লোজিং মূল্য দাঁড়িয়েছে ১০২ টাকা ৬০ পয়সা। গত তিন মাসে একাধিক দিন লেনদেনের কোনো এক পর্যায়ে শেয়ারটির বাজার মূল্য একশ টাকার বেঞ্চ মার্ক স্পর্শ বা অতিক্রম করলেও সেটি ধরে রাখতে পারেনি।

আজ দিনের শুরু থেকেই বেক্সিমকোর শেয়ারের দাম ছিল দারুণ উর্ধমুখী। দিনের মধ্যভাগে বাজারে ব্যাপক দরপতন হয়। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৭৪ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১৪ শতাংশ কমে যায়। তখনো বেক্সিমকোর শেয়ারের গতি ছিল উর্ধমুখী।
ডিএসইতে আজ সর্বনিম্ন ৯৭ টাকা ৬০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১০৩ টাকা দরের মধ্যে কোম্পানিটির ২ কোটি ৩২ হাজার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। আর এসব শেয়ারের মোট মূল্য ছিল ২০০ কোটি টাকা, যা বাজারের মোট লেনদেনের ৯ শতাংশের বেশি। আজ লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা কোম্পানিটির (আইএফআইসি ব্যাংক) সাথে বেক্সিমকোর লেনদেনের পরিমাণে ছিল ১০৩ কোটি টাকার ব্যবধান। অর্থাৎ দ্বিতীয় স্থানে থাকা কোম্পানিটির দ্বিগুণেরও বেশি লেনদেন হয়েছে প্রথম স্থানে থাকা কোম্পানিটির।
গত এক বছর ধরে বেক্সিমকোর শেয়ারে দামে নাটকীয় উত্থান হয়েছে। এর সাথে কোম্পানিটির ব্যবসায়িক পারফরম্যান্সেও ছিল বড় ধরনের পরিবর্তন।
গত বছরের এপ্রিলে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ছিল ১৩ টাকার আশেপাশে। জুলাই শেষে তা ২০ টাকা অতিক্রম করে। আর নভেম্বর পর্যন্ত তা ২৫ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করে। কিন্তু এর পর থেকেই চলতে থাকে শুধু রুদ্ধশ্বাসে উর্ধমুখী যাত্রা। এই কোম্পানির শেয়ারের। পরের তিন মাসে শেয়ারটির দাম প্রায় ৪ গুণ বেড়ে ৯৫ টাকায় উন্নীত হয়। এর পর থেকে কোম্পানিটির বিনিয়োগকারীসহ অনেকে উৎসুক হয়ে অপেক্ষা করছিলেন, কখন শেয়ারটির দাম ১০০ টাকা অতিক্রম করবে। কিন্তু পরের ৫ মাসে তাদের ধৈর্যের পরীক্ষা নিতেই যেন শেয়ারটির দাম নানা পর্যায়ে উঠা-নামা করতে থাকে। এর মধ্যে কয়েক দফায় শতকের ঘর স্পর্শ করলেও সেখানে স্থিত হয়নি শেয়ারের দাম। তবে আজ বাজারে কাঁপন ধরানো পতনের দিনে সব অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে সেঞ্চুরি হাঁকায় বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার।
ডিএসইর পরিসংখ্যান অনুসারে, সর্বশেষ বছরে (২০১৯-২০) বেক্সিমকো লিমিটেড ৫% লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। ৩০ জুন, ২০২০ তারিখে সমাপ্ত বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছিল ৫১ পয়সা। এর বিপরীতে ২০২০-২১ হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিক বা ৯ মাসে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ৩০ পয়সা।
এর মধ্যে কোম্পানিটির বেশ কয়েকটি মূল্য সংবেদনশীল তথ্য এসেছে। সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, কোম্পানিটি দেশে প্রথম গ্রীন সুকুক ইস্যু করার মাধ্যমে ৩ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। ইতোমধ্যে এই প্রক্রিয়াটি প্রায় শেষ হয়েছে।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.