দৌলতদিয়ায় ফেরি পারের অপেক্ষায় ৭ শতাধিক গাড়ি

কঠোর বিধিনিষেধ শিথিলের পর প্রথম দিন আজ বুধবার (১১ আগস্ট) রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে যানবাহন বেড়েছে। সবশেষ খবরে এখনো সাত শতাধিক গাড়ি ফেরি পারের অপেক্ষায় রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও গাড়িচালকরা।

সকালে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়াঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে বাংলাদেশ হ্যাচারিজ পর্যন্ত চার কিলোমিটার এলাকায় প্রায় ৩০০ যানবাহনের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়েছে। এসব যানবাহন ফেরি পারের অপেক্ষায় দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করছে।

এ ছাড়া ঘাট এলাকায় যানজট কমাতে দৌলতদিয়া থেকে ১৩.৫ কিলোমিটার দূরে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের গোয়ালন্দ মোড় থেকে আহলাদিপুর জুট মিল পর্যন্ত চার কিলোমিটার এলাকায় প্রায় ৪০০ পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে, যা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করা হচ্ছে।

ফেরি স্বল্পতা, পদ্মায় তীব্র স্রোত ও অতিরিক্ত যাত্রীর চাপের কারণে এই ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। তবে লঞ্চ চালু থাকায় অনেক যাত্রী বাস থেকে নেমে লঞ্চে পাটুরিয়া যাচ্ছেন।

এদিকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে যাত্রী এবং গাড়িবাহী ফেরি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকায় দৌলতিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে চাপ বেড়েছে।

মাগুরা থেকে আসা সুজন বিশ্বাস জানান, আগামীকাল থেকে তার অফিস খোলা থাকবে। ঈদের আগে লকডাউন শিথিলের সময় গ্রামের বাড়ি গেলেও দীর্ঘ লকডাউনে অফিস বন্ধ থাকায় ঢাকায় ফেরেননি। অফিস খোলা থাকায় তাকে ঢাকা ফিরতে হচ্ছে।

মাদারীপুর থেকে আসা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রফিক উদ্দিন জানান, লকডাউন শিথিল হয়েছে। অফিসে এখন খোলা। তাই ঢাকায় ফিরতে হচ্ছে।

সাতক্ষীরা থেকে আসা আবিদ হাসান বলেন, রাতে রওনা দিয়ে ঘাট এলাকায় এসেছি। তবে এখনো ফেরিতে উঠতে পারিনি। মনে হচ্ছে আরও এক-দেড় ঘণ্টা লাগবে। প্রায় ৫ ঘণ্টা এভাবে যানজটে আটকে আছি।

ট্রাকচালক আবেদ বলেন, রাতে ঘাটে আসলেও এখনো উঠতে পারিনি। লকডাউন ছুটে যাওয়ায় ট্রাকের সঙ্গে বাসও পারপার হচ্ছে। নদীতে স্রোত বেশি থাকায় ফেরি পারাপার হতে সময় লাগছে।

বিআইডাব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. শিহাব উদ্দিন (বাণিজ্য) গণমাধ্যমকে বলেন, আজ থেকে আমাদের ১৫টি ফেরি চলাচল করছে। পদ্মায় তীব্র স্রোত থাকায় ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। তাই ঘাট এলাকায় এসে যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘাট এলাকা স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশা করছেন তিনি।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.