বাসায় গিয়ে টিকা দেওয়া সেই স্বাস্থ্যকর্মী বরখাস্ত

বাসায় গিয়ে টিকা দেওয়া সেই স্বাস্থ্যকর্মীকে বরখাস্ত করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) তাকে বরখাস্ত করা হয়। একইসঙ্গে এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।

বরখাস্ত হওয়া বিষু দে নগরের কাট্টলীর মোস্তফা হাকিম মাতৃসদন হাসপাতালের ল্যাব টেকনিশিয়ান হিসেবে অস্থায়ী ভিত্তিতে কর্মরত ছিলেন।

এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সহকারী সচিব নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ওই স্বাস্থ্যকর্মী অস্থায়ী ভিত্তিতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে কর্মরত ছিলেন। তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।’

এদিকে টাকার বিনিময়ে বাসায় গিয়ে টিকা দেওয়ার বিষয়টি তদন্ত করতে সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলামকে আহবায়ক করে পাঁচ সদস্যর কমিটি করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুমনী আক্তার, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. ওয়াজেদ চৌধুরী অভি, সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী ও স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট জাহানারা ফেরদৌস।

গত ৭ আগস্ট বাসায় বসে টিকা গ্রহণ করছেন, এ রকম একটি ছবি এমডি হাসান নামে একটি আইডি থেকে ফেসবুকে আপলোড দেওয়া হয়। আলী সিটিজি নামে একজনকে ট্যাগ করেন তিনি। ছবিটি ছড়িয়ে দিয়ে সমালোচনা শুরু হলে হাসান তা মুছে ফেলেন। বিষয়টি পুলিশের নজরে এলে রোববার ব্যবসায়ী মো. হাসান ও সোমবার ব্যাংকার মোবারক আলীকে গ্রেপ্তার করে খুলশী থানা পুলিশ। এছাড়া গ্রেপ্তার দুইজনসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন সিটি করপোরেশনের চিকিৎসক ডা. তপন কুমার চক্রবর্তী।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বিষু দে এক হাজার টাকার বিনিময়ে মো. হাসান ও মো. সাজ্জাদকে বাসায় গিয়ে টিকা দিয়েছেন। বিষয়টি ব্যবস্থা করে দিয়েছেন ব্যাংকার মোবারক আলী। ল্যাব টেকনিশিয়ান বিষু দে তার বন্ধু। তবে বিশু দত্ত কিভাবে এ টিকা সংগ্রহ করেছেন তা জানাতে পারেননি গ্রেপ্তার হাসান ও মো. মোবারক আলী। বিষয়টি খতিয়ে দেখবে তদন্ত কমিটি। একই সঙ্গে টিকাদানকারী বিষু দে ও আরেক টিকাগ্রহীতা মো. সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন খুলশী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আফতাব হোসেন।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.