শতভাগ যাত্রী নিয়ে চলবে লঞ্চ, বাড়তি ভাড়া প্রত্যাহার
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণের ফলে মহামারি পরিস্থিতিতে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে লঞ্চ চলাচলের কারণে ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোর যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। বুধবার (১১ আগস্ট) থেকে শতভাগ আসনে যাত্রী নিয়ে লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) সচিবালয়ে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভাশেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামীকাল বুধবার (১০ আগস্ট) থেকে শতভাগ আসনে যাত্রী নিয়ে লঞ্চ চলবে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে লঞ্চের ভাড়া বাড়ানোর যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। নতুন করে লঞ্চের ভাড়া বাড়ছে না বলেও জানান তিনি।
এ সময় পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কা প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতুর সঙ্গে আমাদের অনুভূতি জড়িয়ে আছে। এ অনুভূতি হচ্ছে আত্মসম্মানের অনুভূতি। আমরা খুবই বিব্রত। খুবই দুঃখজনক হলেও বলতে হচ্ছে, পরপর দুটি ঘটনা ঘটে গেল পদ্মা সেতুতে। প্রথম যখন এ সংঘর্ষ হয়েছিল, সে সময় তাৎক্ষণিকভাবে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। পরবর্তীতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিবও একটি তদন্ত কমিটি করেছিলেন। সেই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আমরা পেয়েছি। তাদের সুপারিশগুলো নিয়ে এখানে (সভায়) দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছি সেটা হচ্ছে- মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া প্রান্তর ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার প্রান্তর, পদ্মার এ জায়গায় (রুটে) স্রোতের প্রচণ্ড তীব্রতার কারণে এখানে ওভারলোডেড ফেরিগুলো চলাচলে দুঃসাধ্য হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে ফেরিগুলো কন্ট্রোলের ক্ষেত্রে আমাদের ফেরি পরিচালনার সঙ্গে যারা যুক্ত, সেখানেও দুর্বলতা আছে।’ সে কারণে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, পরিস্থিতি পুরোপুরিভাবে নিয়ন্ত্রণ না আসা পর্যন্ত, স্রোতের তীব্রতা নিয়ন্ত্রণ না আসা পর্যন্ত এ রুটে ভারী যানবাহন নিয়ে ফেরি চলাচল করবে না। হালকা যে যানবাহন আছে ও জরুরিভিত্তিতে যেগুলো চলে- যেমন অ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেটকার- এ ধরনের যানবাহন ফেরিতে পারাপার করা যাবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী ডেডিকেটেড যেটা করেছি সেটা হচ্ছে- পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথ। সেখানে ফেরির সংখ্যা বাড়ানো হবে। পণ্যবাহীর জন্য চাঁদপুরের হরিণা-শরীয়তপুরের আলুর বাজার, সেখানেও ফেরির সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়া হবে। সেই রুটটা পণ্যবাহী পারাপারের জন্য ব্যবহার করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পদ্মা সেতুর নিচ দিয়ে যে ফেরিগুলো যাবে, এগুলো হালকা যানবাহনই পারাপার করবে। নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত বাকি সব বন্ধ থাকবে।’
অর্থসূচক/এমএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.