মুস্তাফিজ যেন বাংলার রশিদ খান

লেগ স্পিনার হিসেবে বর্তমান বিশ্ব ক্রিকেটে দারুণভাবে দাপট দেখাচ্ছেন রশিদ খান। অন্যান্য লেগ স্পিনারের তুলনায় তিনি খানিকটা জোরের ওপর বল করে থাকেন। এদিকে মুস্তাফিজুর রহমানকে খেলতে গিয়ে রশিদকে খেলার আবহ পাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানরা।

চলতি সিরিজে মুস্তাফিজলের স্লোয়ার ও কাটার সামলাতে গিয়ে বিপাকে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানরা। মূলত পেসার হলেও মিরপুর শের ই বাংলার ধীরগতির উইকেটে স্লোয়ার দিয়ে অজি ব্যাটসম্যানদের খাবি খাওয়াচ্ছেন বাঁহাতি পেসার। প্রথম ম্যাচে ১৬ রানে ২ উইকেট নেয়া মুস্তাফিজ দ্বিতীয় ম্যাচে নিয়েছেন ২৩ রানে ৩ উইকেট।

সিরিজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বোলিং স্পেলটা করেছেন তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে। যেখানে কোন উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে দিয়েছেন মোটে ৯ রান। চতুর্থ ম্যাচে দল জিততে না পারলেও ৪ ওভারে ৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ টি উইকেট। চার ম্যাচে এখন পর্যন্ত মাত্র ৭ উইকেট নিলেও মুস্তাফিজ প্রশংসা কুড়াচ্ছেন স্লোয়ার, কাটার ও মিতব্যয়ী বোলিংয়ে। ৪ ম্যাচে ১৬ ওভার বল করা মুস্তাফিজ রান দিয়েছেন ৩.৫৬ ইকোনমি রেটে।

মুস্তাফিজকে নিয়ে অজিদের জয়ে ফেরানো ক্রিস্টিয়ান জানিয়েছেন, ‘মুস্তাফিজকে খেলা অসম্ভবের কাছাকাছি। এটা দারুণ গতিময় রশিদ খানকে খেলার মতো।’

চার ম্যাচে খেললেও এখনও মুস্তাফিজকে খেলার সমাধান বের করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। চতুর্থ ম্যাচ খেলতে নামার আগে মুস্তাফিজকে নিয়ে পরিকল্পনা করলেও সেটা কাজে আসেনি। মুস্তাফিজের বলে আউট হলেও তাঁর বোলিংয়ের প্রশংসা করেছেন ক্রিস্টিয়ান। সেই সঙ্গে অজি অলরাউন্ডারের দাবি, ‘এই ম্যাচের (চতুর্থ) আগে আমরা তাকে খেলার নানা পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছি। তাকে সামনের পায়ে খেলব নাকি পেছনের পায়ে, অফ সাইডে খেলব নাকি লেগ সাইডে…। তার বলে এত কিছু হয়, পিচেও বল উঠা-নামা করে… তার বল কেমন হবে, বোঝার উপায় নেই।’

এই অজি অলরাউন্ডার আরও বলেন, ‘সামনের পায়ে তাকে খেলা সত্যিই কঠিন, কারণ কোনো বল টার্ন করবে, কোনোটি বাউন্স। অবশ্যই আমরা কোনো সমাধান বের করতে পারিনি। কারণ এই ম্যাচেও সে ওভারপ্রতি মাত্র ২ রান করে দিয়েছে। সত্যিই দুর্দান্ত বোলিং, কন্ডিশনটাকে নিজের পক্ষে দারুণভাবে কাজে লাগাচ্ছে সে।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.