তালেবানের অবস্থানে বিমান হামলা, নিহত ২ শতাধিক

আফগানিস্তানের জুযজান প্রদেশে তালেবান অবস্থানগুলোতে বি-৫২ বোমারু বিমান দিয়ে হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। এতে প্রায় দুই শতাধিক তালেবান মারা গেছে বলে রোববার (৮ আগস্ট) এ খবর প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা এএনআই।

আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ফাওয়াদ আমান টুইট করে বলেন, সেবারঘানে তালেবান যোদ্ধাদের জমায়েত ও গোপন আস্তানা লক্ষ্য করে বিমানবাহিনী হামলা চালায়। এতে প্রায় দুই শতাধিক তালেবান প্রাণ হারিয়েছেন। এ হামলায় তালেবানের বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদ ও যানবাহন ধ্বংস হয়ে গেছে।

ওই কর্মকর্তা জানান, শনিবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে বি-৫২ জঙ্গি বিমান দিয়ে তালেবান লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়।

জুযজান প্রদেশ থেকে নির্বাচিত আফগান সংসদ সদস্য হালিমা সাদাফ জানিয়েছেন, প্রদেশের কেন্দ্রীয় শহর শাবারগানে তালেবান অবস্থানগুলোতে হামলা চালানো হয়। শনিবারই দিনের মাঝামাঝি সময়ে তালেবানের হাতে জুযজান প্রদেশের কেন্দ্রীয় শহরটির পতন হয়। তালেবান অস্ত্রধারীরা যখন শাবারগান শহরে আফগান সেনাবাহিনীর ফেলে যাওয়া অস্ত্রসস্ত্র সংগ্রহ করছিল তখন তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।

তালেবানের মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ দাবি করেছেন, জুযজানের প্রাদেশিক পরিষদের প্রধান বাবর ইশচি এবং তার ছেলে আহমদ ইশচি তাদের ২০ সহযোগীসহ তালেবানে যোগ দিয়েছেন। আফগান সংসদ সদস্য হালিমা সাদাফ তালেবানের এই দাবি নাকচ করে দিয়েছেন। নিরপেক্ষ কোনো সূত্র থেকে এই দাবি ও পাল্টা দাবি যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন মার্কিন সন্ত্রাসী সেনাবাহিনী- সেন্টকমের মুখপাত্র কর্নেল নিকোল ফ্রেরা বলেছেন, মার্কিন সেনারা গত কয়েকদিনে তাদের আফগান শরিকদের সমর্থনে কয়েক দফা বিমান হামলা চালিয়েছে। তবে কোন ধরনের বিমান ব্যবহার করে এ হামলা চালানো হয়েছে তা তিনি স্পষ্ট করেননি।

২০০১ সালে ইঙ্গো-মার্কিন হামলায় তালেবানের পতনের সময় আফগানিস্তানের জনগণ মার্কিন বি-৫২ বোমারু বিমানের সঙ্গে পরিচিত হয়। ইরাকের সাদ্দাম সরকারের পতন এবং আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের পতন ঘটাতে এই বিমান ব্যবহার করা হয়েছিল। ভিয়েতনাম যুদ্ধেও আমেরিকা এই বিমান ব্যবহার করে।

সপ্তাহব্যাপী সংঘর্ষের পর শনিবার সেবারঘানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করে তালেবান। আগের দিন গত শুক্রবার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ নিমরোজের রাজধানী জারাঞ্জ দখলে নেয় সশস্ত্র সংগঠনটি। এ নিয়ে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তালেবানদের হাতে আফগানিস্তানের দুটি প্রাদেশিক রাজধানীর পতন হলো। আফগানিস্তানজুড়ে তালেবানের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর তীব্র লড়াইয়ের মধ্যে দুটি রাজধানী শহরের পতন দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য এক বড় ধাক্কা।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.