কেপিএল বাতিলে আইসিসির কাছে ভারতের চিঠি

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) অধীনে আগামী ৬ আগস্ট মাঠে গড়াতে যাচ্ছে কাশ্মীর প্রিমিয়ার লিগ (কেপিএল)। তবে সেখানে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। টুর্নামেন্টটি যেন মাঠে না গড়ায় সেজন্য সব রকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত।

ইতোমধ্যে টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ না করতে বিদেশি ক্রিকেটারদের হুমকি দিয়েছে বিসিসিআই। এমনকি ক্রিকেট বোর্ডগুলোকেও কেপিএলে খেলোয়াড় না পাঠাতে অনুরোধ করেছিল তারা। এবার কেপিএলকে স্বীকৃতি না দিতে সরাসরি আইসিসির কাছে লিখিত আবেদন করেছে বিসিসিআই।

আইসিসিকে অভিযোগ করে বিসিসিআই বলেছে যে, কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। কাশ্মীর সন্ত্রাসী বেষ্ঠিত এলাকা হওয়ায় এখানে ক্রিকেট ম্যাচ মাঠে গড়ানো অনেকটা আইসিসি কর্তৃক স্বীকৃতি দেওয়ার মতো।

কেপিএলের এবারের আসরে খেলার কথা রয়েছে শ্রীলঙ্কা তিলকারত্নে দিলশান ও দক্ষিণ আফ্রিকার হার্শেল গিবস ও ইংল্যান্ডের ম্যাট প্রিয়র, মন্টি পানেসার, ফিল মাস্টার্ড ও ওয়াইস শাহর। তাঁদেরকে হুমকি দিয়ে বলা হয়েছে যে, কেপিএলে অংশগ্রহণ করলে ভারতে ক্রিকেট নিয়ে কাজ করার ও প্রবেশের সুবিধা হারাবেন তাঁরা।

এদিকে কেপিএলের ব্যাপারে বিসিসিআইয়ের এমন হস্তক্ষেপে বেশ চটেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। বিসিসিআইয়ের বিরুদ্ধে আইসিসির কাছে নালিশ করবে বলেও জানিয়েছিলো দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান আলাদা হয়ে যাওয়ার পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্কের বেশ অবনতি হতে দেখা গেছে।

কাশ্মীর অংশ নিয়ে নানা সময়ে একে অপরের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে দেশ দুটি। নানা সময়ে সেই রেষ পড়তে দেখা গেছে ভারত ও পাকিস্তানের ক্রিকেটেও। ২০১২ সালের পর নিজেদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আর কোনো সিরিজ খেলেনি তারা। অবশ্য আইসিসির বৈশ্বিক আসরগুলোতে একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে তারা।

আগামী ৬ আগস্ট মাঠে গড়াবে কেপিএলের প্রথম আসর। ১০ দিনের এই টুর্নামেন্টে খেলবে মোট ৬টি দল। দলগুলো হলো, রাওয়ালকোট হকস, বাঘ স্ট্যালিয়েন্স, মুজাফফরাবাদ টাইগার্স, মিরপুর রয়্যালস, কোটলিউ প্যান্থার্স এবং ওভারসিস ওয়ারিয়র্স।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.