হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তথ্য পেলে অনুসন্ধান করবে দুদক

আওয়ামী লীগ থেকে পদ হারানো ব্যবসায়ী হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির আমলযোগ্য তথ্য পেলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তা অনুসন্ধান করে দেখবে।

রোববার দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মোজাম্মেল হক খান এ কথা জানান।

তিনি বলেন, হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গেে যে বিষয়গুলো এসেছে সেটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেখছে। তার সম্পদ সংক্রান্ত যেসব তথ্য আসছে সেটা দুদকের অংশ হবে, যেহেতু অবৈধ সম্পদের বিষয়টি দুদক অনুসন্ধান করে। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির আমলযোগ্য তথ্য পেলেই দুদক অনুসন্ধান শুরু করবে।

সম্প্রতি আওয়ামী লীগের উপকমিটি থেকে অব্যাহতি পাওয়া হেলেনা জাহাঙ্গীরকে বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১২টার দিকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। রাত ৮টা থেকে হেলেনার গুলশানের বাসায় অভিযান শুরু হয়। চার ঘণ্টার অভিযানে জব্দ করা হয় ১৯ বোতল বিদেশি মদ, একটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া, একটি হরিণের চামড়া, দুটি মোবাইল ফোন, ১৯টি চেক বই, বিদেশি মুদ্রা, দুটি ওয়াকিটকি সেট এবং জুয়া (ক্যাসিনো) খেলার ৪৫৬টি চিপস।

অভিযানের ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার রাতেই র‌্যাব-৪ বিটিআরসিকে সঙ্গে নিয়ে মিরপুরে হেলেনার অনুমোদনহীন টেলিভিশন স্টেশন ‘জয়যাত্রা’ সিলগালা করে দেয়। সেখান থেকে স্যাটেলাইট টিভি সম্প্রচারের অবৈধ সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। হেলেনা ওই টেলিভিশনে কর্মী ও সাংবাদিক নিয়োগের নামে চাঁদাবাজি ও প্রতারণা করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অভিযানে চাঁদাবাজি-সংক্রান্ত নথিপত্রও জব্দ করা হয়েছে।

পরদিন এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব জানায়, হেলেনা নিজেকে ‘মাদার তেরেসা’, ‘পল্লিমাতা’ ও ‘প্রবাসীমাতা’ হিসেবে পরিচিত করতে জয়যাত্রা ফাউন্ডেশনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেন। তার পৃষ্ঠপোষকতায় একটি সংঘবদ্ধ চক্র এসব ভুয়া খেতাব প্রচার করত। বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সংস্থা ও ব্যক্তির কাছ থেকে জয়যাত্রা ফাউন্ডেশনের নামে অর্থ সংগ্রহ করতেন তিনি। তবে মানবিক সহায়তার চেয়ে খেতাব প্রচারেই সেই অর্থ বেশি ব্যবহার করা হতো। তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রেখে নিজের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতেন। তিনি ১২টি ক্লাবের সদস্য।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.