যাত্রীর চাপ না কমা পর্যন্ত লঞ্চ চলবে
রফতানিমুখী শিল্প-কারখানায় কাজে যোগ দিতে শ্রমিকদের পরিবহনের জন্য লঞ্চ চলাচলের সময় বাড়ানো হয়েছে। তবে, কতদিন পর্যন্ত চলবে সেই বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক জানান, যাত্রীর চাপ না কমা পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল আমরা চালিয়ে যাবো। তবে এ বিষয়ে আজ রাতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আজ রোববার (০১ আগস্ট) দুপুর সোয়া ১টার দিকে গণমাধ্যমকে তিনি এ কথা জানান।
লঞ্চ চলাচলের সময়সীমা বাড়িয়ে আগামীকাল ২ আগস্ট ভোর ৬টা পর্যন্ত করা হয়েছে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে খবর পাওয়া গেলেও এ তথ্যের সত্যতা সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে রোববার থেকে রফতানিমুখী শিল্প-কারখানা খুলে দিয়েছে সরকার। এই ঘোষণার পর গতকাল শনিবার ঢাকামুখী মানুষের ঢল নামে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ঈদে বাড়ি গিয়ে কঠোর বিধিনিষেধে আটকে পড়া শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে সীমাহীন দুর্ভোগ সয়ে কর্মস্থলে ফিরছেন।
দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে চলে যাওয়ায় গত কয়েক মাস ধরে বিধিনিষেধ আরোপ করে তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে সরকার। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে আটদিনের জন্য শিথিল করা হয়েছিল বিধিনিষেধ। এরপর আবার গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ দিয়েছে সরকার। আগামী ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত থাকবে এই বিধিনিষেধ।
বিধিনিষেধে সব ধরনের গণপরিবহন, সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ আছে। খাদ্যপণ্য উৎপাদন-প্রক্রিয়াকরণ, চামড়া পরিবহন-সংরক্ষণ ও ওষুধ খাত ছাড়া বন্ধ ছিল সব ধরণের শিল্প-কারখানা। এখন রফতানিমুখী শিল্প-কারখানাকেও বিধিনিষেধের আওতার বাইরে রাখা হলো।
অর্থসূচক/কেএসআর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.