২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত-মৃত্যু কমলেও সংক্রমণ হার বেড়েছে

করোনা মহামারির তাণ্ডবে টালমাটাল বিশ্ব। বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। এর মধ্যে এপ্রিল মাসে দেশে হঠাৎ করেই করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃত্যুতে ব্যাপক উল্লম্ফন হয়। মাঝে কিছুদিন শনাক্ত ও মৃত্যু কমলেও আবারও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে করোনা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু ও শনাক্ত কিছুটা কমেছে। তবে এ সময়ে সংক্রমণ হার বেড়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৩ হাজার ৮৬২ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর আগে ২৮ জুলাই দেশে ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়, যা একদিনে এ যাবতকালের সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড।

আগের সাত দিনে দেশে যথাক্রমে ১৫২৭১, ১৬২৩০, ১৪৯২৫, ১৫১৯২, ১১২৯১, ৬৭৮০ ও ৬৩৬৪ জন রোগী শনাক্ত হয়।

সর্বশেষ তথ্য অনুসারে দেশে নভেল করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ৪০ হাজার ১১৫ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪৫ হাজার ৪৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ৭৭ শতাংশ। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ছিল ২৯ দশমিক ২১ শতাংশ।

এর আগের ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৫২ হাজার ২৮২টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার করা হয়েছে ৭৭ লাখ ৯ হাজার ৯১৪ জনের। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ০৮ শতাংশ।

আজ শুক্রবার (৩০ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।


একনজরে দেশের করোনার চিত্র

নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন: ১৩৮৬২ জন

মোট আক্রান্তের সংখ্যা: ১২৪০১১৫ জন

২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে: ২১২ জনের

মোট মৃত্যু হয়েছে: ২০৪৬৭ জনের

২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন: ১৩৯৭৫ জন

মোট সুস্থ হয়েছেন: ১০৬৪১৯৫ জন


গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২১২ জন মারা গেছেন। এর আগে গত ২৮ জুলাই দেশে করোনায় ২৫৮ জনের মৃত্যু হয়, যা একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু।

গত সাত দিনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন যথাক্রমে ২৩৯, ২৩৭, ২৫৮, ২৪৭, ২২৮, ১৯৫ ও ১৬৬ জন।

সর্বশেষ তথ্য অনুসারে দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৪৬৭ জনে। মোট শনাক্তকৃত রোগীর বিপরীতে মৃত্যুর হার এক দশমিক ৬৫ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ১৩ হাজার ৯৭৫ জন সুস্থ হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। দেশে এখন পর্যন্ত করোনা থেকে মোট সুস্থ হয়েছেন দশ লাখ ১০ লাখ ৬৪ হাজার ১৯৫ জন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ৮১ শতাংশ।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.