ইভ্যালির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলবে: দুদক আইনজীবী

দেশের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালিতে হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করলেও তা প্রতিষ্ঠানটির অনিয়ম অনুসন্ধানে বাধা হবে না বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

বুধবার (২৮ জুলাই) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

খুরশীদ আলম খান আরও বলেন, গত নভেম্বর থেকে ইভ্যালি.কম লিমিটেডের চেয়ারম্যান শামীমা নাসরীন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাসেলের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে। নতুন বিনিয়োগের কারণে তাদের বিরুদ্ধে যে অনিয়মের অনুসন্ধান চলছে, তাতে কোন প্রভাব পরবে না বা ব্যাঘাত ঘটবে না।

একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে অর্থপাচার ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এর আগে গত ২৭ জুলাই ইভ্যালিতে ১ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের কথা জানান যমুনা গ্রুপ। প্রাথমিকভাবে ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে তারা। ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন পর্যায়ে মোট এক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে বলেও গ্রুপটি জানিয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের নভেম্বরে ইভ্যালির বিরুদ্ধে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন এবং গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের সূত্র ধরে অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করে তারা। সেসময় দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী ও উপ-সহকারী পরিচালক শিহাব সালামকে নিয়ে দুই সদস্যের একটি অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়। এ বছরের ১৪ মার্চ পর্যন্ত ইভ্যালির সম্পদের পরিমাণ ৬৫ কোটি ১৭৮ লাখ টাকা। অন্যদিকে, প্রতিষ্ঠানটির দায় ৪০৭ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম হিসেবে নেওয়া দায় প্রায় ২১৪ কোটি টাকা। আর মার্চেন্টদের কাছে ইভ্যালির দায় ১৯০ কোটি টাকা। দুদকের হিসাবে স্বাভাবিক নিয়মে ইভ্যালির কাছে ৪০৪ কোটি টাকার সম্পদ থাকার কথা। কিন্তু ইভ্যালির কাছে চলতি সম্পদ রয়েছে মাত্র ৬৫ কোটি ১৮ লাখ টাকার, যা দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি তার চলতি দায়ের বিপরীতে মাত্র ১৬ দশমিক ১৪ শতাংশ গ্রাহককে পণ্য সরবরাহ করতে পারবে।

ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলমান থাকায় ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চেয়ারম্যানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.