২৪ ঘণ্টায় ১০৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যেই গত ২৪ ঘণ্টায় এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা একশ ছাড়িয়েছে। এ সময়ে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ১০৪ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হন। এটি চলতি বছরে একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তির রেকর্ড।

এ নিয়ে বর্তমানে সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতালে মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৪২২ জনে। তাদের মধ্যে রাজধানীতে ৩১৯ জন ও ঢাকার বাইরের হাসপাতালে তিনজন রোগী ভর্তি রয়েছেন।

শনিবার (২৪ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের স্বাস্থ্য তথ্য ইউনিটের (এমআইএস) সহকারী পরিচালক ও হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. কামরুল কিবরিয়া স্বাক্ষরিত ডেঙ্গু সংক্রান্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হওয়া ১০৪ জন রোগীর মধ্যে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতালে ৩১ জন ও বেসরকারি হাসপাতালে ৭৩ জন ভর্তি রয়েছেন। সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতালগুলোর মধ্যে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে ২১ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতালে পাঁচজন ও সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ৯ জন।

এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে মোট ভর্তি ৭৩ জনের মধ্যে হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে সাতজন, ইবনে সিনা হাসপাতাল ধানমন্ডিতে একজন, স্কয়ার হাসপাতাল আটজন, সেন্ট্রাল হাসপাতাল ধানমন্ডিতে ৯ জন, গ্রীন লাইফ হাসপাতালে তিনজন, ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতাল কাকরাইলে তিনজন, খিদমাহ হাসপাতাল খিলগাঁওয়ে ছয়জন, সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন, এভারকেয়ার হাসপাতালে ছয়জন, আদ-দ্বীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৭ জন, ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে একজন, বিআরবি হসপিটালস লিমিটেডে একজন, বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে দুজন, উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজন, সালাউদ্দিন হাসপাতালে দুজন, পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনজন এবং উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে একজন ভর্তি হন।

পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে আজ শনিবার ২৪ জুলাই পর্যন্ত রাজধানীসহ সারাদেশে মোট ১ হাজার ৫৭৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ১৪৯ জন।

চলতি বছর জানুয়ারিতে ৩২ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৯ জন, মার্চে ১৩ জন, এপ্রিলে তিনজন, মে মাসে ৪৩ জন, জুনে ২৭২ জন এবং ২৪ জুলাই পর্যন্ত ১ হাজার ২০২ জন রোগী ভর্তি হন।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.