করোনায় একদিনে ৮ হাজারের বেশি মৃত্যু

চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ফের বেড়েছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সাড়ে আট হাজারের বেশি মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫ লাখ ৫৭ হাজার।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। অন্যদিকে দৈনিক মৃত্যুতে শীর্ষে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৯ কোটি ৩৩ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪১ লাখ ৫০ হাজার।

আজ শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল ১০টায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) নয় হাজার ১৪১ জনের মৃত্যু এবং পাঁচ লাখ ৯৫ হাজার ২৩২ জন শনাক্তের খবর জানিয়েছিল ওয়ার্ল্ডোমিটার। আর একদিনে সুস্থ হয়েছিল চার লাখ ১৮ হাজার ১০১ জন।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সারাবিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১৯ কোটি ৩৩ লাখ ৭০ হাজার ১৮৩ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৪১ লাখ ৫০ হাজার ৮৫৯ জন। এখন পর্যন্ত এ ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৭ কোটি ৫৭ লাখ ১১ হাজার ৪১৮ জন।

করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে এখনো বিশ্বে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে তিন কোটি ৫২ লাখ ১৩ হাজার ৫৯৪ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ছয় লাখ ২৬ হাজার ১৭২ জন।

তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ভারত। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তিন কোটি ১২ লাখ ৯১ হাজার ৭০৪ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন চার লাখ ১৯ হাজার ৫০২ জন।

তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। তবে মৃত্যুর দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে দেশটি। সেখানে এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৪৭ হাজার ১৩৪ জনে। এছাড়া এখন পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছে এক কোটি ৯৫ লাখ ২৪ হাজার ৯২ জন।

সংক্রমণ ও মৃত্যুর তালিকায় এর পরের স্থানগুলোতে রয়েছে রাশিয়া, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, তুরস্ক, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া ও ইতালি।

তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন ২৬ নম্বরে। দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন হয়েছেন ১১ লাখ ৪০ হাজার ২০০ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১৮ হাজার ৬৮৫ জন। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন নয় লাখ ৬৯ হাজার ৬১০ জন।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.