আজকের মধ্যে পশু কোরবানির কাজ শেষ করুন: তাপস

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ফজলে নুর তাপস আজকের (বৃহস্পতিবার) মধ্যে কোরবানির পশু জবাই দেওয়ার কাজ শেষ করার জন্য রাজধানীবাসীকে অনুরোধ জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ডিএসসিসির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা গত তিনদিন ধরে পশুর বর্জ্য অপসারণসহ বিভিন্ন ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। তাদেরও পরিবার-পরিজন ও ঈদ রয়েছে। তাদেরও একদিন ছুটি প্রয়োজন। এ কারণে ঈদের তৃতীয় দিনও পশু জবাই না করে আজকের মধ্যেই কোরবানির পশু জবাই শেষ করুন।

আজ বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) নগরভবনে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ঢাকাবাসী যারা এখনো কোরবানি দেননি, আমি তাদের কাছে নিবেদন করবো, তারা যেন আজকের মধ্যে তাদের কোরবানি সম্পূর্ণ করেন। আমরা একটি বিষয় লক্ষ্য করছি, অনেক মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী চামড়া সংগ্রহ করেছেন, এই চামড়াগুলো হয়তোবা তারা বিক্রি করতে না পেরে নর্দমার মুখে ফেলে রেখেছেন। এটা অত্যন্ত গর্হিত কাজ।

তিনি বলেন, আমি বারবার নিবেদন করেছি আমাদের নালাগুলো যেন কোনোভাবেই বন্ধ না করা হয়। আমরা এখনো বর্ষাকালে রয়েছি। এই বর্জ্য কোনভাবে নেমে নালাগুলো বন্ধ না হয়ে যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য আমি ঢাকাবাসীর কাছে অনুরোধ করছি।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বলেন, আমরা কোরবানির জন্য পর্যাপ্ত থলে দিয়েছি। তারপরেও আমাদের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের রাস্তার উপর থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করতে নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আমি আবারও নিবেদন করবো, আপনারা নির্দিষ্ট থলের মধ্যে বর্জ্য রাখবেন। এরপর আমাদের পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাছে অথবা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলবেন। আমরা আশাবাদী আজকের মধ্যেই আমরা হাটের এবং কোরবানির সকল বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হবো।

শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা ওয়ার্ডগুলোতে এখনো বর্জ্য দেখা যাচ্ছে এমন প্রশ্নের উত্তরে মেয়র বলেন, আমাদের ২৪ ঘণ্টা এখনো কিন্তু শেষ হয়নি, কোরবানির বর্জ্য অপসারণের বিশাল কর্মযজ্ঞ এখনো চলমান রয়েছে। কিছু ওয়ার্ডে গতকাল রাত বারোটার মধ্যে আমরা বর্জ্য অপসারণ সম্পন্ন করেছি। কিছু ওয়ার্ড দুপুর বারোটার মধ্যে শতভাগ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। কোরবানির হাট সংশ্লিষ্ট কিছু ওয়ার্ডে হাটের এবং লোকালয়ের বর্জ্য রয়েছে। আমরা আশাবাদী রাত বারোটার মধ্যে সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।

কোরবানির হাটের ইজারাদার প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করে মেয়র বলেন, কোরবানির হাটের ইজারাদারদের কাছ থেকে আমরা সহযোগিতা পাচ্ছি না, কিছু ক্ষেত্রে অসহযোগিতা পাচ্ছি। এ বিষয়ে ভবিষ্যতে আমরা আরও কঠোর হবো। যেসব ইজারাদার শর্ত ভঙ্গ করেছেন তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত করবো।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.