মহামারি থেকে মুক্তি চেয়ে বিশেষ দোয়া

করোনা ভাইরাস মহামারি থেকে গোটা বিশ্বকে যেন আল্লাহ হেফাজত করেন সেই মোনাজাত হয়েছে দেশের প্রধান ঈদ জামাতে। আজ বুধবার (২১ জুলাই) সকাল ৭টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররমেরই সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে তার সঙ্গে ছিলেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের মুয়াজ্জিন মো. আতাউর রহমান।

প্রধান জামাতের মোনাজাতে তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস মহামারির পরীক্ষা থেকে আল্লাহ যেন আমাদের হেফাজত করেন। আল্লাহ যেন মুসলিম উম্মাকে তথা দুনিয়াকে হেফাজত করেন, আমরা সেই মোনাজাত করি।

ঈদুল আজহার দোয়া কামনায় তিনি বলেন, হে আল্লাহ আমরা যেন আপনার হুকুমকে সামনে রেখে সঠিক নিয়মে, সঠিক নিয়তে কোরবানি করতে পারি। এ সুন্দর আমলকে যেন আমরা যথাযথ নিয়মে পালন করতে পারি, আমাদের তৌফিক দান করুন। হে আল্লাহ আপনি রহমতের বরকত দ্বারা ভরপুর করে দিন।

মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সব শহীদের জন্য দোয়া করা হয় জামাতে। এরপর দেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য দোয়া করা হয়।

মৃত স্বজনদের জন্য যখন মোনাজাত ধরলেন, তখন সমবেত মুসল্লিদের চোখে ছিল জল। দু’হাত তুলে মোনাজাত ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেকে।

এ দিন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের নামাজ আদায় করতে এসেছিলেন মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, কূটনীতিক; তাদের সঙ্গে যোগ দেন সমাজের নানা শ্রেণির-পেশার মানুষ।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসও প্রথম জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করেন।

ঈদের নামাজ আদায়ে সকাল ৬টা থেকে জায়নামাজ হাতে জাতীয় মসজিদে ভিড় করতে থাকেন মুসল্লিরা। ফাঁকা ফাঁকা হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তারা মসজিদে অবস্থান করেন। এরপর জামাত আদায় করেন। মাস্ক ছাড়া কাউকে মসজিদে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

এদিকে, সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে জাতীয় মসজিদ এলাকা এবং মসজিদের প্রতিটি গেটে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। ব্যাগ নিয়ে আসা মুসল্লিদের তল্লাশি করতে দেখা যায়। করোনার কারণে কোলাকুলি বা হাত মেলানো থেকে বিরত থাকতে বলা হলেও তা মানেননি অনেকে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.