ঈদের ছুটিতে ফাঁকা হচ্ছে ঢাকা

করোনা ভাইরাস মহামারির মধ্যে উদযাপিত হতে যাচ্ছে আরেকটি ঈদ। ঈদুল আজহা উপলক্ষে ব্যস্ত ঢাকা এখন অনেকটাই ফাঁকা।

আগামীকাল বুধবার (২১ জুলাই) ঈদ। এর আগেই আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তা ফাঁকা হয়ে গেছে। নেই চিরচেনা যানজট। দূরপাল্লার বাস চালু থাকার পরও প্রাইভেটকার, পিকআপ-ট্রাক ও ছোট যানবাহনে বাড়ির পথে রওনা দিচ্ছেন অনেকেই।

ঢাকা থেকে বের হয়ে বিভিন্ন জেলায় যাওয়ার এই পথগুলোতে যানজট আছে। শেষ মুহূর্তে বাড়ি যাচ্ছেন ঘরমুখো মানুষ। তবে ঢাকার ভেতরে মানুষের চলাচল একেবারেই কম। রাস্তায় গাড়ি চলছে সীমিত।

বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিসে ঈদের ছুটি শুরু হওয়ায় সড়কে কমে গেছে যানবাহনের চাপ। যানজটের ভোগান্তি ছাড়াই বের হতে পারছেন মানুষ।

ঈদের আগের দিন আজ মঙ্গলবার (২০ জুলাই) রাজধানীর গুলিস্তান ও সায়েদাবাদ বাসস্টেশনে দেখা গেছে নানা বয়সী বিপুল সংখ্যক মানুষকে। তারা ছুটছেন গ্রামের পথে। পরিবারের সঙ্গে ঈদের খুশি ভাগাভাগি করে নিতে তাদের এই যাত্রা। ফলে বাস, রেলস্টেশন ও লঞ্চ টার্মিনালে বাড়ছে ভিড়। পায়ে হেটে, রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে করে বিভিন্ন স্টেশনে যাচ্ছেন তারা। করোনার ঝুঁকির কথা জেনেও সবাই ছুটছেন।

এ ধরনের যাত্রার কারণে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু আরও বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তারা সংক্রমণ কমাতে শতভাগ মানুষকে মাস্ক পরিধানসহ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে দেখা যায়নি বেশিরভাগ মানুষকে।

এর আগে ১৫ জুলাই থেকে বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার পর পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে সড়কে অসংখ্য মানুষের উপস্থিতি দেখা মেলে। তবে ঈদের আগের দিন মঙ্গলবার ঢাকার সড়কে লোকজন ও যানবাহনের উপস্থিতি কমতে শুরু করে।

করোনা সংক্রমণ রোধে দেশে ১ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত টানা দুই সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর হয়। এরপর ঈদকে সামনে রেখে গত ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করে গণপরিবহন, মার্কেট ও শপিংমল, অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। তবে ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আবার বিধিনিষেধের আগাম ঘোষণা দিয়ে রেখেছে সরকার।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.