বয়স ৩০ হলেই পাওয়া যাবে করোনার টিকা

নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) অতিমারি মোকাবেলায় গণটিকার পরিধি আরও বিস্তৃত করেছে সরকার। এর অংশ হিসেবে টিকার নিবন্ধনের ন্যুনতম বয়স ৩৫ বছর থেকে কমিয়ে ৩০ বছর করা হয়েছে। ফলে কারো বয়স ৩০ বছর হলেই করোনার টিকা নিতে পারবেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

ইতোমধ্যে টিকা নেওয়ার জন্য নাম নিবন্ধনের অ্যাপ ‘সুরক্ষা’ও  বয়সসীমা কমিয়ে ৩০ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।

গত ১৩ জুলাই ইকনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত এক ওয়েবিনারে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান জানিয়েছিলেন, করোনা মোকাবেলায় টিকার জন্য নিবন্ধনের ন্যুনতম বয়স কমিয়ে আনার কথা ভাবা হচ্ছে।

সালমান এফ রহমান বলেন, সরকার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। দেশে সংক্রমণ বৃদ্ধির পাশাপাশি মৃত্যু হারও বাড়ছে। এই অবস্থা মোকাবেলায় টিকাদান কর্মসূচিকে জোরদার করতে হবে।

দেশে গণটিকা শুরুর সময় নিবন্ধনের ন্যুনতম বয়স ছিল ৫৫ বছর। পরে এটিকে কমিয়ে ৪৪ বছর করা হয়। গত ৫ জুলাই বয়সসীমা আরও কমিয়ে ৩৫ বছর নির্ধারণ করা হয়।

দেশে গত ৭ ফেব্রুয়ারি গণটিকা দেওয়া শুরু হয়। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কেনা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিয়ে এই কর্মসূচি শুরু হয়। কিন্তু কোম্পানিটি প্রতিশ্রুতি অনুসারে টিকার সরবরাহ অব্যাহত না রাখায় মে মাসে টিকার জন্য নতুন করে নিবন্ধন বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রায় ২ মাস পর গত ৭ জুলাই ফের নিবন্ধন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে সরকারের কাছে চীনের সিনোফার্ম থেকে কেনা টিকা আসতে শুরু করেছে। এছাড়া কোভ্যাক্স কর্মসূচির আওতায় মডার্ন ও ফাইজারের কিছু টিকা উপহার হিসেবে পাওয়া গেছে। চিনের সিনো ফার্ম থেকে সরকারের কেনা টিকার চালানও দেশে আসতে শুরু করেছে। এছাড়া সেপ্টেম্বরে সেরাম ইনস্টিটিউটও বাংলাদেশে টিকা রপ্তানি শুরু করতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে টিকার সঙ্কট কেটে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় সরকার গণটিকাদান কর্মসূচিকে আরও জোরদার করার উদ্যোগ নিয়েছে।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.