শামসুল আলমকে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন

প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়া পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদ্য সাবেক সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলমকে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

তাকে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী করে রোববার (১৮ জুলাই) রাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রধানমন্ত্রী রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী তাকে নিয়োগ দিয়েছেন বলে এতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে রোববার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে প্রতিমন্ত্রীর শপথ নেন ড. শামসুল আলম। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বঙ্গভবনে শামসুল আলমকে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ বাক্য পাঠ করান।

২০২১ সালের ১ জুলাই পর্যন্ত শামসুল আলমের চাকরির মেয়াদ বাড়িয়েছিল সরকার। ড. আলম ২০০৯ সালে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবে যোগ দেন। গত ১২ বছর ধরে জিইডি সদস্য পদে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

ড. শামসুল আলমের হাত ধরে তৈরি হয়েছে বেশ কয়েকটি উন্নয়ন পরিকল্পনা। যেগুলো এখন চলমান। ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক ও সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণীত হয়েছে তার হাত ধরে। সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারের আলোকে দ্বিতীয় দারিদ্র্য বিমোচন কৌশলপত্র (২০০৯-১১) সংশোধন ও পুনর্বিন্যাস করে ‘দিনবদলের পদক্ষেপ’ ২০১১ সাল পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়েছে।

রূপকল্প ২০২১-এর আলোকে বাংলাদেশের প্রথম পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০১০-২০২১) তৈরি করে জিইডি। এ ছাড়া প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়ন কৌশলপত্র, সামাজিক সুরক্ষা কৌশলপত্র প্রণীত হয়েছে তার সময়ে। বর্তমানে ১০০ বছরের বদ্বীপ পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ শেষের পথে। এগুলোর বাইরে তার দায়িত্ব পালনকালে এমডিজি অর্জন বিষয়ক ১৫টি গ্রন্থ, তার তত্ত্বাবধান ও সম্পাদনায় ৬৩টি মূল্যায়ন প্রতিবেদন, অধ্যয়ন ও গবেষণাগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।

ড. শামসুল আলম এ বছর সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ইকোনমিক মডেলিং কর্তৃক ইকোনমিস্ট অব ইনফ্লুয়েন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির ১৬তম বার্ষিক সম্মেলনে এ বছর তাকে স্বর্ণপদকে ভূষিত করা হয়। বাংলাদেশ শিক্ষা পর্যবেক্ষণ সোসাইটি তাকে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম স্মৃতি পদক ২০১৮-এ ভূষিত করে। তার গবেষণাগ্রন্থ, পাঠ্যপুস্তকসহ অর্থনীতি বিষয়ক প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা ১২টি।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.