রাস্তায় ছটফট করছিলেন যুবকটি, ‘ঘাতকের’ নাম বলে চিরবিদায়

রাস্তায় যন্ত্রণায় ছটফট করছিলেন এক যুবক। তাকে দেখতে ভিড় করেন উৎসুক লোকজন। অনেকে ভিডিও করেছেন দূর থেকে। তবে কেউ যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেননি। খবর পেয়ে পুলিশ এসে ছুরিকাহত যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান।

গতকাল শনিবার (১৭ জুলাই) রাত সাড়ে আটটার দিকে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের কলেজ সড়কের প্রেস ক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ওই যুবকের নাম শরীফ। তিনি শ্রীমঙ্গলের শহরতলির শাহজিবাজার এলাকার শায়েস্তা মিয়ার ছেলে। নিহত যুবক মৃত্যুর আগমুহূর্তে জানান, সজিব নামের এক ব্যক্তি তাকে ছুরিকাঘাত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শ্রীমঙ্গল কলেজ রোডে প্রেস ক্লাবের সামনে ছুরিকাঘাতে মারাত্মক আহত অবস্থায় ওই যুবক ছটফট করছিলেন। এ সময় লোকজন এগিয়ে গেলে তিনি নিজের নাম শরীফ বলে জানান এবং শান্তিবাগ এলাকার সজিব নামের এক যুবক তাকে ছুরিকাঘাত করেছেন বলেও উল্লেখ করেন। ওই সময় তিনি আরও জানান, তার বাসা শহরতলীর শাহজিবাজার এলাকায় এবং তার বাবার নাম শায়েস্তা মিয়া।

এ সময় ওই যুবকের দেওয়া বক্তব্য রেকর্ড করেন কয়েকজন সংবাদকর্মী। পরে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে মানুষের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।

খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) হুমায়ুন কবির ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি মারা যান।

পুলিশের একটি সূত্র বলছে, শরীফ ও তার বন্ধু সজীব শনিবার বিকেলে শহরের একটি আবাসিক হোটেলে একটি কক্ষ ভাড়া নেন। ভাড়া নেওয়ার পর সেই কক্ষে তারা কিছু সময় অবস্থান করেন। বেলা ৩টা ২৫ মিনিটে তারা ওই হোটেলে যান। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করার পর বিকেল চারটার দিকে তারা দুজন একসঙ্গে বেরিয়ে যান। শহরের একটি পেট্রলপাম্পের সামনে সন্ধ্যার দিকে দুজনকে ঝগড়া করতে দেখা গেছে।

শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কারকুন বলেন, অভিযুক্ত সজীবকে ধরার জন্য পুলিশের অভিযান চলছে। তাকে ধরতে পারলেই ঘটনার কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় অনেক আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.