নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধ: বরিশাল থেকে সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ

বরিশালে টার্মিনালের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংঘর্ষের জেরে রূপাতলী বাস টার্মিনাল ও নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে গোটা বরিশাল জেলার সঙ্গে আশপাশের ও দূরের জেলার বাস চলাচল বন্ধ হয়ে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা।

বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে শ্রমিকদের দাবি না মানায় বরিশালের রুপাতলী বাস টার্মিনাল থেকে ১৭ রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে একত্মতা প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদ থেকে আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার সব রুটের বাস চলাচলও বন্ধ করে দিয়েছেন শ্রমিকনেতারা।

জানা যায়, রূপাতলী শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃত্ব দাবীদার দুই পক্ষই আওয়ামী লীগ নেতাদের। রূপাতলী বাস টার্মিনালে শ্রমিকদের একপক্ষ অপরপক্ষকে গ্রেফতারের দাবিতে প্রশাসনকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়েছিল। কিন্তু কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় সকাল ১০টা থেকে দুটি টার্মিনাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ করে দেন শ্রমিক-মালিকরা।

বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক কাওছার হোসেন শিপন জানান, বৃহস্পতিবার রূপাতলী টার্মিনালে হামলাকারী সন্ত্রাসী ১০ জনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ একজনকেও গ্রেফতার করেনি। তাই পুর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ১০টায় রূপাতলী ও নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে সকল বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন মালিক-শ্রমিকরা।

নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ হোসেন জানান, রূপাতলী টার্মিনালের মালিক-শ্রমিকদের দাবির প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করে নথুল্লাবাদ টার্মিনালের মালিক-শ্রমিকরা সকাল ১০টা থেকে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন। ফরিদ বলেন, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত বাস চলবে না।

উল্লেখ্য, লকডাউনে বন্ধ থাকার পর বাস চলাচল শুরুর প্রথম দিন বৃহস্পতিবার নগরীর রূপাতলী বাস টার্মিনালের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা চালায় সেখানকার বিবাদমান শ্রমিকদের দুইপক্ষ। ফলে দুইপক্ষের সংঘর্ষ হলে প্রায় ৫ ঘণ্টা বাসচলাচল বন্ধ ছিল।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.