বিধিনিষেধ শিথিলে সংক্রমণ বাড়তে পারে: স্বাস্থ্য অধিদফতর

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে আটদিনের জন্য সর্বাত্মক লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করায় সারাদেশে সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

আজ বুধবার (১৪ জুলাই) দুপুরে করোনার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত ভার্চুয়াল বুলেটিনে অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন এ আশঙ্কার কথা জানান।

অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন বলেন, সরকারের নির্দেশে পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে চলমান বিধিনিষেধ ১৫ থেকে ২২ জুলাই আট দিনের জন্য শিথিল করা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতর মনে করে এই বিধিনিষেধ শিথিল করা সাপেক্ষে আমাদের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা আছে।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে যেন গণপরিবহন, বাজার ও পশুর হাট এবং শপিং মলগুলো খোলা রাখা হয় সেটা স্বাস্থ্য অধিদফতর বারবার কঠোরভাবে বলার চেষ্টা করছে। পরিবহনে যাত্রীর সংখ্যা অর্ধেক করা না হলে সংক্রমণের মাত্রা কমার কোনও সুযোগ থাকবে না। ঢাকায় ১৭ থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত কোরবানির পশুর হাট বসবে, সেখানে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে সংক্রমণ বাড়তে পারে। তাই বিধিনিষেধ শিথিল করা হোক বা না হোক, আমাদের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতেই হবে।

দেশে করোনা ভাইরাসে সংক্রমণের মাত্রা ৩০ শতাংশ রয়েছে জানিয়ে দেশবাসীকে সতর্ক করে ডা. রোবেদ আমিন বলেন, কোরবানির পশুর হাটে মাস্কের ব্যবহার ১০০ ভাগ করা না গেলে সংক্রমণের মাত্রা আপ্রাণ চেষ্টা করেও কমানো যাবে না। তাই জনে জনে যেন স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয় সেজন্য আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও অনুরোধ জানাই।

এদিকে সারা দেশে, বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামে ম্যালেরিয়া পরিপ্রেক্ষিতে ঈদুল আজহার ছুটিতে রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান এবং কক্সবাজারে ভ্রমণে না যেতে দেশবাসীকে নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

রোবেদ আমিন জানান, গত মে ও জুন মাসে পার্বত্য চট্টগ্রামে এক হাজার ২১৫ জন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিন জেলায় বছরের শুরু থেকে পাঁচ শতাধিক মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী, গত ১৩ জুলাই পর্যন্ত সারা দেশে ৪৭৩ জন ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে অনেক রোগীকে আইসিইউতে নিতে হচ্ছে বলে জানান রোবেদ আমিন।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.