বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ঘরমুখো মানুষের ভিড়

বিধি-নিষেধ শিথিল হওয়ার একদিন আগে বুধবার (১৪ জুলাই) সকাল থেকেই বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরিতে ঘরমুখো মানুষের ভিড় রয়েছে। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (১৪ জুলাই) সকাল থেকে নৌরুটে চারটি রো-রো ফেরিসহ ১২টি ফেরি চলাচল করছে।

বৃহস্পতিবার থেকে লকডাউন শিথিলের ঘোষণা আসার পর থেকেই ঘাটে যাত্রীদের উপস্থিতি বেড়ে গেছে। সকাল থেকে ঘরমুখো মানুষের কিছুটা চাপ রয়েছে নৌরুটে। এদিকে গত কয়েক দিন ধরে নৌরুটের পদ্মা নদীতে স্রোতের তীব্রতা বেড়েছে। ফলে ফেরি চলাচল কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে পদ্মা পার হতে দেড় ঘণ্টা বেশি লাগছে। এতে করে কমেছে ফেরির দৈনন্দিন ট্রিপ। ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় থাকা যানবাহনের সংখ্যাও বাড়ছে।

বাংলাবাজার ঘাটের স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল থেকে হঠাৎ করেই নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহনের ভিড় দেখা গেছে। ঢাকা থেকে আসা যাত্রীদের প্রচুর চাপ দেখা গেছে ঘাটে। শিমুলিয়া থেকে ছেড়ে আসা প্রতিটি ফেরিতে যানবাহনের পাশাপাশি সাধারণ যাত্রীদের প্রচুর ভিড় রয়েছে। বাংলাবাজার ঘাটে আটকে আছে পণ্যবাহী ট্রাক। এছাড়া ফেরিঘাটে অ্যাম্বুলেন্সসহ ঢাকাগামী ছোট যানবাহনের ভিড় রয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, পদ্মায় স্রোত থাকায় ফেরি চলাচলে ধীর গতি রয়েছে। ফলে ঘাটে আটকে থাকা যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে। সেই সঙ্গে জরুরি কাজে যাওয়া মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে। শিমুলিয়া থেকে ফেরিতে কিছু কিছু যাত্রী আসছেন। বাংলাবাজার ঘাটে ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ নেই। পণ্যবাহী ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি যানবাহন পার হচ্ছে।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.