পথচারীকে কামড়ানোয় দুই কুকুরকে ‘মৃত্যুদণ্ড’

কাউকে হত্যা, রাষ্ট্রদ্রোহিতা বা আরও কিছু কারণে দেষীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার আইন অনেক দেশেই রয়েছে। তবে শুধুমাত্র কামড় দেওয়ার অপরাধে মৃত্যুদণ্ড! সেটাও আরও দুই পোষা কুকুরকে। সম্প্রতি পাকিস্তানে ঘটে যাওয়া এমন ঘটনায় বেশ শোরগোল পড়ে গেছে।

পাকিস্তানে এক আইনজীবীকে কামড়ে দেওয়ার ঘটনায় ‘অভিযুক্ত’ দুই জার্মান শেফার্ডকে ‘মৃত্যুদণ্ড’ দেওয়া হয়। তবে কোন আদালতে নয়, তার বাইরেই এই শাস্তির ব্যাপারে রফা করে নিয়েছেন আক্রান্ত আইনজীবী ও কুকুর দু’টির মালিক।

ঠিক কী হয়েছিল? গত মাসে প্রাতঃভ্রমণে বের হলে মির্জা আখতার নামের ওই আইনজীবীর উপরে হামলা করে কুকুর দু’টি। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, কীভাবে ফাঁকা সড়কে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে তার উপরে চড়াও হয়েছে তারা। ভিডিওটি দ্রুতই ভাইরাল হয়ে যায়। বহু নেটিজেনই প্রশ্ন তোলেন, কী করে কুকুরগুলিকে রাস্তায় এভাবে খোলা অবস্থায় ছেড়ে রেখেছিলেন তাদের মালিক? প্রশ্ন ওঠে, নিরাপত্তার জন্য বিশেষ জাতের কুকুর পোষা নিয়েও।

এরপর কুকুরের মালিক হুমায়ুন খানের সঙ্গে ও আইনজীবী মির্জার মধ্যে রফা হয়। শেষ পর্যন্ত কুকুরের মালিককে ক্ষমা করে দিতে রাজি হয়েছেন, তবে শর্তসাপেক্ষে। প্রধানতম শর্তই হল, কুকুর দু’টিকে কোনও পশু চিকিৎসকের সাহায্য নিয়ে বিনা যন্ত্রণায় মেরে ফেলতে হবে। ওই ধরনের আরও কুকুর তার কাছে থাকলে তাকেও দিতে হবে। এছাড়া আইনজীবীর কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে তাকে এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের কোনও হিংস্র কুকুর তিনি পুষবেন না।

এছাড়াও আরেকটি শর্ত দেওয়া হয়েছে। তা হল, যদি তার কোনও পোষ্য থাকে, তবে ক্লিফটন ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডে সেটির নাম নথিভুক্ত করতে হবে। উপযুক্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হ্যান্ডলার ছাড়া সেই পোষ্যকে রাস্তায় বের করা যাবে না।

এমনই নানা শর্তের মাধ্যমে বোঝাপড়া হয়েছে। সাক্ষীদের দিয়ে সইও করানো হয়েছে। তা আদালতে জমাও দেওয়া হয়েছে। তবে এই ধরনের অমানবিক বোঝাপড়ার ঘটনায় পশুপ্রেমীরা হতাশা ব্যক্ত করেছেন।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.