শোরুমভিত্তিক ব্যবসা-বাণিজ্যের দিন শেষ: মোস্তাফা জব্বার

করোনা মহামারিসহ যেকোন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আগামী দিনের ব্যবসা-বাণিজ্যের পদ্ধতিগত পরিবর্তন অপরিহার্য বলে মনে করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

তিনি বলেন, শোরুমভিত্তিক ব্যবসা-বাণিজ্যের দিন প্রায় শেষ। করোনা মহামারি ডিজিটাল বাণিজ্য সম্প্রসারণে আমূল পরিবর্তনের সূচনা করেছে।

কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে লকডাউনে আইটি প্রযুক্তি ব্যবসার সংকট এবং তা থেকে উত্তরণ বিষয়ক ভার্চুয়াল সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। আজ রোববার (১১ জুলাই) ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতি সারা পৃথিবী মোকাবিলা করছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল অবকাঠামো সম্প্রসারণের ফলে বাংলাদেশ তুলনামূলকভাবে অনেকটাই স্বাভাবিক জীবনধারা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে তথ্যপ্রযুক্তির ডিভাইস ছাড়া সরকারি-বেসরকারিসহ ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান চলছে না। টেলিকম, ইন্টারনেট ও ডাক সার্ভিসকে সরকার সে বিবেচনায় জরুরি সেবার আওতায় রেখেছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, ডিজিটাল পণ্য সরবরাহ ও বিক্রয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের আওতায় আনতে পারলে সুফল পাওয়া যাবে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতিকে (বিসিএস) এগিয়ে আসতে হবে। বিসিএসের একটি বিকল্প প্লাটফর্ম থাকা উচিৎ। এক্ষেত্রে দেশব্যাপী ডাক বিভাগের নয় হাজার অফিস ও বিশাল জনবলকে কাজে লাগাতে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন দৃশ্যমান, সামনে প্রয়োগ হবে। এরই ধারাবাহিকতায় রূপান্তরিত হবে ডিজিটাল ডিভাইস। দেশে ডিজিটাল ডিভাইসের বাজার অনেক সম্প্রসারণ হয়েছে। দেশে প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থী আছে, তাদের প্রত্যেকের ডিজিটাল ডিভাইসের প্রয়োজন হবে। কাজেই বাজার কৌশলেও পরিবর্তন আনতে হবে।

বিসিএস, বেসিস, ই-ক্যাব, বাক্কসহ আইটি প্রযুক্তি সম্পৃক্ত প্রতিটি ট্রেডবডির সঙ্গে সম্পৃক্ততার বর্ণনা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, আইটি প্রযুক্তির যতগুলো প্রতিষ্ঠান আছে বিসিএস সেগুলোর প্যারেন্ট সংগঠন। আইটি খাতের বিকাশে বিসিএস যে অবদান রেখেছে কোনো সংগঠন তা তুলনা করতে পারবে না। বিসিএস ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের যাত্রায় গর্ব করার মতো একটি প্রতিষ্ঠান।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.