ঢাকায় বসে কিছু নেতা অর্থের লালসায় একরামকে উস্কানি দেন: কাদের মির্জা

নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে আবারও বিষোদগার করেছেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।

একরাম চৌধুরীর উদ্দেশে তিনি বলেন, নোয়াখালীতে অপরাজনীতির হোতা আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছেন। কয়দিন তার মুখ বন্ধ ছিল। গতকাল (বুধবার) রাতে সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি আলাম মাস্টারকে মদ খেয়ে রাতের ১২টায় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। তার ছেলে নাকি তার (একরাম) বিরুদ্ধে লেখেছে। এ সাহস সে (একরাম) কোথা থেকে পায়। জেলা আ’লীগের সেক্রেটারি বাদ দেন। সে একজন এমপি। এভাবে মদ খেয়ে, যার তার সঙ্গে যা ইচ্ছা তাই বলবেন, তাকে এ ক্ষমতা কে দিয়েছেন? এত বড় দুঃসাহস তাকে কে দিয়েছেন। কিছু জাতীয় নেতা আজকে অর্থের লালসায় ঢাকায় বসে তাকে উস্কানি দেন। না হলে এ ছেলে এ সাহস কোথায় থেকে পায়।

বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

মেয়র কাদের মির্জা একরাম চৌধুরীকে ইঙ্গিত করে বলেন, আমাদেরকে বলেন আমরা রাজাকার পরিবারের সন্তান। আমরা রাজাকার পরিবারের সন্তান নাকি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান সেটার প্রমাণ নেত্রীর কাছে আছে। তোমার এ দুঃসাহস কোত্থেকে হয়েছে। যাকে ইচ্ছে তাকে মা ধরে গালিগালাজ করবে। তুমি কে? এত বড় শক্তি তুমি কোত্থেকে পেয়েছ। কাকে টাকা দিয়ে আজকে নোয়াখালীতে তুমি মুকুটহীন সম্রাট সাজতে চাও। কাকে টাকা দাও, সে কে? তাদের স্বরুপ উদঘাটন করা হবে। ছেড়ে দেওয়া হবে না। আজকে লোভী অপরাজনীতির হোতারা আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।

কাদের মির্জার অভিযোগ, একরাম চৌধুরী দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেন। এত বড় সাহস তিনি কোথা থেকে পান? কেন্দ্রীয় কিছু অর্থলোভী নেতাদের কারণে তার মত ছেলে এ কথা গুলা বলার সাহস পায়।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.