ইউটিউব থেকে আয় করবেন যেভাবে

প্রতিদিন সারা বিশ্বে ৫০০ কোটি ইউটিউব ভিডিও দেখা হয়। করোনাকালে এ সংখ্যা আরও বেড়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, একজন দর্শকের ইউটিউব দেখার গড় সময়কাল ৪০ মিনিট। অর্থাৎ ইউটিউবের মাধ্যমে এক বিপুল সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। আর তাই বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে ইউটিউব আজ এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকরী মাধ্যম। এর ফলে ঘরে বসেই অনলাইনে ইউটিউব থেকে আয়ের সুযোগ তৈরি হচ্ছে।

ইউটিউবে অনেকটা সময় কাটিয়ে অনেকের মাথায়ই প্রশ্ন আসে, ইউটিউব থেকে কীভাবে আয় করা সম্ভব? এখানে ইউটিউব থেকে আয়ের কিছু উপায় তুলে ধরা হলো-

বিজ্ঞাপন থেকে আয়: ইউটিউবে আয় করার সবচেয়ে সহজ উপায় এটি। আপনি হয়তো জানেন যে বেশিরভাগ ইউটিউবাররাই ভিডিওতে দেখানো বিজ্ঞাপন থেকেই আয় করেন। একটা প্রাথমিক ধারণা থেকে বলা হয়ে থাকে যে, প্রতি এক হাজার ভিউ থেকে প্রায় ৩ থেকে ৭ ডলারের মতো আয় হয়।

অ্যাফিলিয়েট লিংকের মাধ্যমে আয়: অনেক ইউটিউব চ্যানেল বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিতে যায় যে তাদের পণ্যের লিংক তার ভিডিও ডিস্ক্রিপশনে দিয়ে দেবে এবং ভিডিওর মধ্যে তাদের এ পণ্যটির কথা বলতে হবে। যখনই কেউ সেই লিংকে ক্লিক করে পণ্যটি ক্রয় করেন, সেখান থেকে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা তখন তিনি কমিশন হিসেবে পেয়ে যাবেন।

নিজেদের পণ্য বিক্রয় করে আয়: সাধারণত যেসব ইউটিউবারের অনেক ফ্যান থাকে, তারা তখন সেই চ্যানেলের লোগো দিয়ে টি-শার্ট, চাবির রিং, ব্যাগ ইত্যাদি তৈরি করে সেটা চ্যানেলের ফ্যানদের কাছে বিক্রি করতে পারেন। এভাবেও অনেক ইউটিউবার অর্থ উপার্জন করছেন। তবে এই পদ্ধতি অনেকের কাছে অপছন্দের।

ডোনেশন: আপনার ভিডিওগুলো কিছু সংখ্যক দর্শকের কাছে বেশ জনপ্রিয়; কিন্তু আয় হচ্ছে না! চ্যানেলের ফ্যানরাও চায় আপনি নিয়মিত ভিডিও তৈরি করেন। প্যাট্রেয়ন নামক একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ওই ফ্যানরাই আপনাকে ডোনেশন দিয়ে যাবে। এই টাকায় আপনি ভিডিও তৈরি চালিয়ে যেতে পারবেন। এই ডোনেশন সিস্টেমটি রাতারাতি কাউকে বড়লোক বানিয়েও দিতে পারে!

স্পন্সরশিপের মাধ্যমে আয়: বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যায় ইউটিউবাররা নির্দিষ্ট কোনো কোম্পানির নাম বলছেন। এতে বুঝবেন, এটা স্পন্সরশিপ। এটা কিছুটা এমন যে, আপনার একটি টিভি চ্যানেল আছে এবং সেখানে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য কেউ আপনাকে অর্থায়ন করছে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.