বানকোর পরিচালকদের সব প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব জব্দ

গ্রাহকদের জমাকৃউত টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অভিযুক্ত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্য প্রতিষ্ঠান বানকো সিকিউরিটিজের পরিচালকদের মালিকানীন ১০ প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। ডিএসইর আবেদনের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক হিসাবগুলো জব্দ করেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

যেসব প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে, সেগুলো হলো—বানকো সিকিউরিটিজ, বানকো ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, সুব্রা সিস্টেমস, সুব্রা ফ্যাশনস, বানকো পাওয়ার, বানকো এনার্জি জেনারেশন, বানকো স্মার্ট সল্যুশন, ক্লাসিক ফুড ল্যাব, অ্যামুলেট ফার্মাসিউটিক্যালস ও সামিট প্রপার্টিজ লিমিটেড।

উল্লেখ, গত জুন মাসের প্রথমভাগে ডিএসইর এক পরিদর্শনে বানকো সিকিউরিটিজের সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে প্রায় ৬৬ কোটি টাকার ঘাটতি ধরা পড়ে। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানটির সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে গ্রাহকদের যে পরিমাণ টাকা থাকার কথা, বাস্তবে তারচেয়ে ৬৬ কোটি টাকা কম ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, ব্রোকারহাউজের গ্রাহকদের টাকা সরিয়ে এর মালিকরা নতুন নতুন কোম্পানি খুলেছেন। আবার পর্যায়ক্রমে ওই কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে এনে সেখান থেকেও বিপুল টাকা সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন তারা।

গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের দায়ে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ গত ১৪ জুন বানকো সিকিউরিটিজের লেনদেন স্থগিত করে। পাশাপাশি এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকদের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এরই মধ্যে গত ২৯ জুন সকালে বানকো সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান আবদুল মুহিত লন্ডনে পালিয়ে যাওয়ার সময় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে হস্তান্তর করে। দুদকও মুহিতসহ বানকো সিকিউরিটিজের সব পরিচালকের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে। এই মামলার অন্য আসামিরা হচ্ছেন-শফিউল আজম, ওয়ালিউল হাসান চৌধুরী, নুরুল ঈশান সাদাত এবং এ মুনিম চৌধুরী।

এদিকে বানকো সিকিউরিটিজের পরিচালকরা যাতে তাদের মালিকানাধীন অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা তুলে সরে যেতে না পারে সে লক্ষ্যে ডিএসই তাদের সব প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করে। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক আলোচিত প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.