রংপুরে বিভাগে করোনায় সর্বোচ্চ ১৬ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৫৫৬

রংপুর বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিভাগে এক দিনে এটিই সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা। এরমধ্যে ঠাকুরগাঁও জেলার সাতজন, দিনাজপুরের চারজন, পঞ্চগড়ের দুইজনসহ লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার একজন করে রয়েছেন। এর আগে শুক্রবার আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (০৪ জুলাই) দুপুরে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আবু মো. জাকিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, একই সময়ে বিভাগে নতুন করে ৫৫৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪৩ শতাংশ। নতুন শনাক্তের মধ্যে ঠাকুরগাঁওয়ে ১৩২, দিনাজপুরে ১০৭, রংপুরে ৯৫, গাইবান্ধায় ৫৭, নীলফামারীতে ৫০, কুড়িগ্রামে ৪০, লালমনিরহাটে ৩৯ এবং পঞ্চগড়ে ৩৬ জন রয়েছেন। এ সময় সুস্থ হয়েছেন ২৩৮ জন।

স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (০৩ জুলাই) বিভাগের আট জেলার ১ হাজার ২৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে ৫৫৬ জন করোনা সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়। একই সময়ে বিভাগের হিলি ও বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে তিনজন দেশে ফিরেছেন।

করোনাভাইরাস শনাক্তের শুরু থেকে শনিবার (০৩ জুলাই) পর্যন্ত রংপুর বিভাগে ১ লাখ ৬১ হাজার ৮৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে ২৮ হাজার ২৪৮ জন শনাক্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ৫৬৭ জন।

এর মধ্যে দিনাজপুর জেলায় করোনাভাইরাসে ৯ হাজার ৮৭ জন আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ২০২ জনে রয়েছে। রংপুরে ৬ হাজার ৪৫২ জন আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে ১১৫ জনের। ঠাকুরগাঁওয়ে ৩ হাজার ৭৩৫ জন আক্রান্ত ও ১০০ জনের মৃত্যু, গাইবান্ধায় ২ হাজার ২৯২ জন আক্রান্ত ও ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এ ছাড়া নীলফামারীতে ১ হাজার ৯৭৮ জন আক্রান্ত ও মৃত্যু ৩৮ জনের, কুড়িগ্রামে ১ হাজার ৯২০ জন আক্রান্ত ও ২৮ জনের মৃত্যু, লালমনিরহাটে ১ হাজার ৬০৪ জন আক্রান্ত ও ৩০ জনের মৃত্যু এবং পঞ্চগড় জেলায় ১ হাজার ১৮০ জন আক্রান্ত ও ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আবু মো. জাকিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিভাগের নির্দেশনা মেনে চলার বিকল্প নেই। অন্যথায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.