‘প্রতিযোগিতায় সক্ষম পোশাকখাত তৈরীতে কাজ করছে সরকার’

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী,বীরপ্রতীক, এমপি বলেন, উৎপাদনশীলতা, কর্মসংস্থান, রপ্তানি ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব বস্ত্র ও পোশাকখাত বিকশিত করে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাসক্ষম শক্তিশালী বস্ত্র ও পোশাকখাত তৈরীতে কাজ করছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়।

আজ মঙ্গলবার (২৯ জুন) সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজেএমইএ)-এর পরিচালক পর্ষদের প্রতিনিধিদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলনে।

এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়েল সচিব মো. আবদুল মান্নান,অতিরিক্ত সচিব (বস্ত্র) মোহাম্মদ আবুল কালাম,এনডিসি,বিজেএমইএ-এর সভাপতি ফারুক হাসান,বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দসহ বিজিএমইএ-এর প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাসক্ষম পোশাকখাত তৈরীর লক্ষ্যে ‘বস্ত্রনীতি-২০১৭’ ও ‘বস্ত্র আইন-২০১৮’ প্রণয়ন করা হয়েছে। এছাড়াও সম্প্রতি “বস্ত্র শিল্প (নিবন্ধন ও ওয়ান স্টপ সার্ভিস কেন্দ্র) বিধিমালা-২০২১” জারি করা হয়েছে। দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তোলার জন্য বর্তমান সরকার ইতোমধ্যে ৪১টি ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট, টি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এবং ৭ টি টেক্সটাইল ডিপ্লোমা ইনষ্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ৩টি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন, ৯টি টেক্সটাইল ডিপ্লোমা ইনষ্টিটিউট স্থাপন এবং ৯টি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনষ্টিটিউট স্থাপন প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।

তিনি বলেন, বস্ত্রখাতের উদ্যোক্তা ও অংশীজনের উদ্দ্যেশে বলতে চাই- যখনই বস্ত্রখাতে কোন সমস্যা হয়েছে তখনই বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা করেছে এবং ভবিষ্যতেও এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সবসময় আপনাদের পাশে থাকবে। বস্ত্রখাতের টেকসই উন্নয়নে সার্বিকভাবে সহযোগীতা করা হবে।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.