রাজশাহী মেডিকেল করোনা ওয়ার্ডে রেকর্ড ২৫ জনের মৃত্যু

গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতি করোনা সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ২৫ জন মারা গেছেন। দেশে করোনা সংক্রমণ শনাক্তের পর রামেক হাসপাতালে এটিই সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড।

সোমবার (২৮ জুন) সকাল ৮টা থেকে আজ মঙ্গলবার (২৯ জুন) সকাল ৮টা পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ের মধ্যে তারা মারা যান। এ নিয়ে চলতি মাসের ২৯ দিনে (১ জুন সকাল ৮টা থেকে ২৯ জুন সকাল ৮টা পর্যন্ত) এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেলেন ৩৪৩ জন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২৫ জনের মধ্যে ৯ জন করোনায় এবং ১৬ জন উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। এদের মধ্যে ১২ জনের বাড়ি বিভাগে করোনার হটস্পট রাজশাহী জেলায়। এ ছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের পাঁচজন, নাটোরের পাঁচজন, নওগাঁর দুজন এবং চুয়াডাঙ্গার একজন মারা গেছেন। করোনা সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন তারা।

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ২৫ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১২ জন মারা গেছেন হাসপাতালের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে।

হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ) ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডে তিনজন করে মারা গেছেন। এ ছাড়া ২২ নম্বর ওয়ার্ডে দুজন, ১, ১৬, ২৫, ২৯/৩০ নম্বর ওয়ার্ড এবং কেবিনে একজন করে মারা গেছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে মারা যাওয়া তিনজন করে রাজশাহী এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার, দুজন নওগাঁর এবং একজন চুয়াডাঙ্গা জেলার বাসিন্দা ছিলেন। উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ১৬ জনের মধ্যে রাজশাহীর ৯ জন, নাটোরের তিনজন, নওগাঁর দুজন এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুজন রয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের মরদেহ দাফনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৮ জুন) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল ল্যাবে ১৮৮ জনের এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ পিসিআর ল্যাবে ৪৪৬ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে রামেক হাসপাতাল ল্যাবে ৬০ ও রামেক ল্যাবে ১৪৭ জনের নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে।

পরীক্ষার অনুপাতে নওগাঁর ৩৮ দশমিক ০৯, রাজশাহীর ৩৬ দশমিক ৯২ শতাংশ এবং চাঁপাইবাবগঞ্জে ১৬ দশমিক ৭৯ শতাংশ নমুনায় করোনা ধরা পড়েছে।

গত ১ জুন থেকে ২৮ জুন সকাল ৯টা পর্যন্ত রামেক হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে মারা গেছেন ৩১৫ জন। এর মধ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৫৬ জনের। আর করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ১৫৩ জন। এ ছাড়া করোনা হওয়ার পর অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় মারা গেছেন ছয়জন।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.