ঘরের বাইরে আসা যাবে না, টহলে থাকবে সেনাবাহিনী

কঠোর লকডাউনে আগামী ১ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৭ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত মানুষ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যেতে পারবে না। এ সময়ে মুভমেন্ট পাসও থাকবে না।

এই কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে পুলিশ, বিজিবি, ব্যাটালিয়ন পুলিশ ছাড়াও সেনাবাহিনী টহলে থাকবে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে যতটুকু সম্ভব, ততটুকু কর্তৃত্ব তাদের দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার (২৮ জুন) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সরকারের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ১ জুলাই সকাল ছয়টা থেকে ৭ জুলাই রাত ১২ পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ থাকবে। তবে প্রয়োজন মনে হলে তা আরও এক সপ্তাহ বাড়তে পারে। বিধিনিষেধ চলাকালে ঘর থেকে বের হওয়া যাবে না (জরুরি সেবা ছাড়া) বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

আগামীকাল মঙ্গলবার এ বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। এদিকে আজ সোমবার থেকে গণপরিবহন, শপিং মল ও মার্কেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ বিধিনিষেধ চলবে ১ জুলাই সকাল ছয়টা পর্যন্ত। এরপর শুরু হবে কঠোর বিধিনিষেধ।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আর্মি, বিজিবি, ব্যাটালিয়ন পুলিশ টহলে থাকবে। মানুষ যেনো কোনোভাবেই ঘর থেকে বের না হতে পারে তা মনিটর করবে। সশস্ত্র বাহিনী টহল দেবে। কেউ কথা না শুনলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া তাদের কাজের মধ্যে থাকবে। রিকশা চলবে কিনা, আদেশে বলে দেওয়া হবে।

মুভমেন্ট পাস না থাকলে বিশেষ প্রয়োজনে কেউ কীভাবে বের হবে- প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বের হওয়া যাবে না, বাসায় থাকতে হবে সবাইকে। কিন্তু ধরেন দাফন-কাফন করতে হবে, সেটা তো বাসায় করা যাবে না, সেসময় বের হওয়া যাবে। রোগী নিয়ে হাসপাতালে যাবেন, সেক্ষেত্রে বের হতে পারবেন।

পোশাক কারখানা ও রফতানিমুখী শিল্পকারখানা খোলা থাকবে কিনা তা আদেশে বলে দেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি বলেন, আমাদের যেটা এক্সপেরিয়েন্স সেটা হলো, চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্ট্রিক্টলি ব্লক করে দেওয়ায় সংক্রমণ অনেক কমে গেছে। সাতক্ষীরায় ইমপ্রুভ করেছে। যেখানে আমরা মুভমেন্ট রেস্ট্রিক করে দিয়েছি সেখানে ইমপ্রুভ করেছ। সরকার যদি মনে করে আরও সাতদিন যেতে হবে সেটাও বিবেচনায় আছে। এটাকে লকডাউন না বললেও নিষেধাজ্ঞা বলা হবে, জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

লকডাউনের মধ্যে সাধারণ মানুষের কী হবে- প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীকে মন্ত্রিসভা বৈঠকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় যথাসম্ভব গতবারের মতো কর্মসূচি নিতে হবে। বিশেষ করে শহর এলাকায় বেশি সমস্যা হয়, সেখানে খেয়াল রেখে যেন সাহায্য নিশ্চিত করা হয়।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.